মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এনআরসি-সিএএ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নবদ্বীপের সভা থেকে মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর বার্তা দ্রুত এই আইন কার্যকর হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেও আক্রমণ শানান তিনি। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ভিন রাজ্যে মতুয়াদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। দেশের অন্যান্য নাগরিকদের সঙ্গে তা হয় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী কেন বাংলায় সিএএ লাগু হতে দিচ্ছে না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
কী বলেন শুভেন্দু?
নবদ্বীপের সভার শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, "সিএএর দরকার কিসের? আমরা তো সকলেই নাগরিক। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে আমাদের মতুয়া বন্ধুদের যখন পেটের টানে বাইরে চাকরির জন্য যেতে হয়, ভিসা, পাসপোর্ট করাতে যেতে হয়, বাংলাদেশে আত্মীয়দের বাড়িতে যেতে হয়, তখন ডিআইবি অফিস কেন ৭১ সালের দলিল চায়? অন্যদের থেকে তো চাওয়া হয় না! এই বিভেদ মুছতেই কেন্দ্র সরকার সিএএ চালু করতে চায়। আমরা আশাবাদী, আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। দ্রুতই সিএএ কার্যকর হবে।"
মতুয়া ধর্মগুরুর নাম ভুল উচ্চারণ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভা থেকে দাবি করেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের বড় মায়ের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। এদিন সেই দাবিকেও নস্যাৎ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “চিকিৎসা হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। সরকারি খরচে। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয়।"
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, "প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৯ সালে ঠাকুরনগরে এসে যে কথা দিয়েছিলেন, তা মেনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় সিএএ গৃহীত হয়েছে। আমরা সকলে প্রত্যাশায় রয়েছি, অপেক্ষায় রয়েছি, আইন তৈরির পর তা কার্যকরের প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে! আমরা আশাবাদী, আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। তাই নবদ্বীপের এই সম্মেলন থেকে আওয়াজ তুলব, অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু করা হোক।"
আরও পড়ুন: বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণে আহত তৃণমূল নেতার ভাই, মৃত ১
তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ১২ বছর পুলিশমন্ত্রী। আপনি তো চাকরি দিতে পারেননি। কর্মসংস্থান দিতে পারেননি। কোটি কোটি টাকায় চাকরি বেচেছেন।" তিনি আরও বলেন, "এই যে মাঝখানে একটা প্রাচীর তৈরি করে রেখেছে, এর বিরুদ্ধে ১৯৪৫ সাল থেকে ঠাকুরের লড়াই। এই লড়াই সফল হয়েছে নরেন্দ্র মোদিজি, অমিত শাহজির সৌজন্যে। ব্যবস্থাপক সুব্রত ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুর। এদের বরাবরের জন্য সম্মান করব। এদের কাজকে মর্যাদা দেব।"
+ There are no comments
Add yours