‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অথচ সেই তিনি ও তাঁর বাড়ির লোকজন...’’, বলেছেন বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো-আতঙ্ক। এই ভাইরাসের সংক্রমণে মূলত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। রাজ্যে প্রতিদিন শিশুমৃত্যু এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি ও তাঁর বাড়ির লোকজন সরকারি হাসপাতালের উপর আস্থা রাখতে পারেন না। তাঁর বাড়ির লোক বিদেশে যান চোখ দেখাতে। মানুষ নিরুপায় হয়ে যাচ্ছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত রক্ষাকবচ না সুরক্ষাকবচ নিয়ে। তাই শিশুরা অবহেলিত। তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অবিলম্বে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের উচিত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শিশুদের রক্ষা করা।”
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো-আতঙ্কে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিক চালু
অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে শিশু মৃত্যু। এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে ১৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়াও, পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ৫, পিয়ারলেস হাসপাতালে ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ জন করে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ছাড়াও অ্যাডিনো - ইস্যুতে রাজ্যকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “শিশুরাই বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। এখনই আটকানো না গেলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। সরকারের উচিত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা। ওষুধ হোক বা ইনঞ্জেকশন হোক বা ভ্যাকসিন হোক। স্পেশাল গুরুত্বের সঙ্গে জরুরি টিম তৈরি করা প্রয়োজন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।