মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে রাজ্যে রয়েছে ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনামতো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পূর্ব ঘোষিত স্কুলগুলিতে পরিদর্শনেও যাচ্ছেন। এবার তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, অসত্যকে ঢেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করা হচ্ছে। দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সেই সমস্ত স্কুলেই নিয়ে যাচ্ছে যাদের আগে থেকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে। দুর্নীতি অনিয়ম লুকোতে মিড মিল স্টাফদেরও এতে সামিল করা হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর।
শুভেন্দুর দাবি
মঙ্গলবার এক ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু দাবি করেন, 'মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না।' শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (Central Team) উচিত নিজেদের মতো যেমন খুশি তেমন স্কুল বেছে হানা দেওয়া। নইলে আসল ছবিটা ধরা পড়বে না। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বাছাই করা স্কুলে মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নিয়ে যাচ্ছে। আগে থেকে জানানো বলে রান্নার কর্মীদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস ও টুপি পরে দেখা যাচ্ছে। আর রান্নাঘরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যেতে হবে।''
Central Inspection Team's being led by WB Govt Officials to a few handpicked schools to review Mid Day Meal implementation.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 31, 2023
Result - Cooking staff wearing aprons & gloves. Neat & clean kitchen.
They should randomly select the school & reach there abruptly to catch them off guard. pic.twitter.com/VLGSSDrkMK
এই ট্যুইটের সঙ্গেই তিনি একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজেরও স্ক্রিনশট দেন। যেখানে মিড-ডে-মিলের রাঁধুনীদের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। সোমবার থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অনুসন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
আরও পড়ুন: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির
এদিনই কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা। মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা মিলেছে, বলে খবর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours