বারাকপুরে বিজেপি কর্মীদের মারধর পুলিশের, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর...
শুভেন্দু অধিকারী (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে বিজেপির আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা দেখা গেল। সোমবার বিজেপি কর্মীদের আন্দোলনকে দমন করতে পুলিশ ইটবৃষ্টি, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠিচার্জ সবকিছুই করে। বিজেপি কর্মীদের দিকে তেড়ে গিয়ে পুলিশ চড়-থাপ্পড়, লাথিও মারতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের এহেন আচরণকে কাঠগড়ায় তুলেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশের ভূমিকাকে ‘হিংস্র নেকড়ে’-র সঙ্গে তুলনা করছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। তৃণমূলের উদ্দেশে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে এই ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে। বিজেপি এর শেষ দেখে ছাড়বে।"
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে যা যা ঘটেছে, তা ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই হিংস্র নেকড়ের মতো পুলিশ শুধু জলকামান ব্যবহার করেই ক্ষান্ত হয়নি। জলকামানের পরে আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তখন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খুঁজে খুঁজে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পেটানো হয়েছে। ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। ৬ জনকে বারাকপুর হাসপাতাল থেকে কল্যাণী এইমসে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বারাকপুর বিজেপির ১৫ জন একনিষ্ঠ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি পুলিশের এই আচরণের নিন্দা করছি। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।’’
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জলকামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।