বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান তাপসবাবু।
Tapas Mondal
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। চলছে জেরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান তাপস। দুর্নীতি-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তলব করেছিল ইডি। প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, তিনি আজ ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। কিন্তু তাঁকে পরে সময় মত উপস্থিত হতে দেখা যায়। তিনি রাজ্যের বাইরে ছিলেন বলে ইডির কাছে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে তাঁকে হাজিরা দিতে আসতেই হয়।
গত শনিবার তাপসবাবুর বারাসতের বাড়ি সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালান ইডির গোয়েন্দারা। তাঁর (Tapas Mondal) একাধিক শিক্ষক ট্রেনিং সংস্থার নামও সামনে এসেছে ও এই সংস্থা গুলোর মাধ্যমে চাকরি বিক্রির কারবার চালানো হত বলে দাবি করেছে ইডির তদন্তকারীরা। আর এই চাকরি বিক্রির মামলায় মানিক ভট্টাচার্যেরও হাত ছিল বলে দানি করেছে ইডি। ফলে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে আজ ইডির দফতের তলব করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হাজিরার বদলে পাঠালেন ই-মেল! আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ তাঁর (Tapas Mondal) হাজিরা দিতে আসার কথা ছিল না। তাই তিনি ইডির কাছে ই-মেলও করেন। কিন্তু তাপসবাবুর বক্তব্য গ্রহণ করেননি ইডির গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে বলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তাপসবাবু। ইডি সূত্রের খবর, বিভিন্ন নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। আরও জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিকের তাপসের সংস্থার একটি চুক্তি হয়েছিল। পরে অভিযোগ ওঠে, ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হলেও, তার ভিত্তিতে কোনও পরিষেবাই দেওয়া হয়নি। তবে এই চুক্তি কোন কারণে, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর এবিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে জানা গিয়েছে। কীভাবে তাঁর ট্রেনিং সংস্থাগুলো থেকে ছেলেমেয়েদের চাকরি লোভ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হত, সেবিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সূত্রের খবর।
আবার অন্যদিকে দাবি করা হয়েছে যে, ২০১১ সালের পর থেকে তাঁর (Tapas Mondal) সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠে। গত কয়েক বছরে কীভাবে এত টাকা রোজগার, বিপুল সম্পত্তি, তার উৎসের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাই এদিকেও বিশেষ তদন্ত চালানো হচ্ছে ও এ নিয়েও জেরা করা হবে তাঁকে।