Shravani Mela: শ্রাবণী মেলার আগে বড় বৈঠক তারকেশ্বর প্রশাসনের…
তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলায় ভক্তদের ঢল। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরসে ধর্মীয় সভায় দুর্ঘটনার কথা গোটা দেশকে চিন্তায় ফেলেছে। এই দিকে সমানেই তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা, হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসন, পুরসভা এবং রেলের সমন্বয়ে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। তারকেশ্বরকে মুড়ে ফেলা হল সিসিটিভিতে। থাকছে কঠোর নিরাপত্তার পরিকাঠামো এবং সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা। এ বছর এই তারকেশ্বর (Tarkeshwar) মেলা শুরু হবে ২১ জুলাই গুরু পূর্ণিমার দিন থেকে, আর চলবে ১৯ অগাস্ট রাখি পূর্ণিমা পর্যন্ত। এক মাস শৈব উপাসকেরা বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালবেন।
শ্রাবণী মেলায় শিব ভক্তরা, গঙ্গা থেকে জল কাঁধে করে বহন করে ভোলা মহেশ্বরের মাথায় জল ঢেলে থাকেন। হুগলি নদীর শেওড়াফুলির ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করে লক্ষ লক্ষ ভক্ত তারকেশ্বর (Tarkeshwar) মন্দিরে জল ঢালেন। দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্তরা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন। শ্রীরামপুর-তারকেশ্বরের (Tarkeshwar) ১২ নম্বর রুটে পা ফেলার জায়গা থাকে না। এই এক মাসের মধ্যে শনি, রবি এবং সোমবারের দিনগুলিতে ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়। এক এক দিনে প্রায় ১০ লক্ষের বেশি ভক্তের সমাগম হয়। এই ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনকে একেবারে নাজেহাল হতে হয়। তাই এবছর আগাম সতর্কতা এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর হয়েছে। মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে প্রশাসন। আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড় বৈঠক করা হয়েছে। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে মূল মন্দিরের প্রবেশ দ্বার বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে। একই ভাবে নজরদারি কড়া করতে রাস্তায় রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!
বৈঠকে এ বছর সংখ্যায় বেশি পরিমাণে পুলিশ মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় বসানো হবে স্বাস্থ্য শিবির কেন্দ্র। একই ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে বৃদ্ধি করা হবে দমকল ইঞ্জিনের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টা আলো এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। ভক্তদের জন্য করা হবে বিশ্রামাগার। এদিন পুরসভার পক্ষ থেকে পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডু এই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। একই ভাবে তারকেশ্বর (Tarkeshwar) ব্লকের আধিকারিক সীমা চন্দ্র, থানার ইনচার্জ তন্ময় বাগ এবং রেল, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এবং দমকল বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত ভিড় এবং উৎসবের আনন্দ যাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার না হয়, তাই রাজ্য প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।