শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘শক্ত প্রমাণেই’ তৃণমূল বিধায়কের জামিন খারিজ
জীবনকৃষ্ণ সাহা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। রায়দানের সময় বিচারপতি বলেন, “জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে যে যে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।” যার ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে জীবনকে।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গত ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুনীর্তির তদন্ত করতে গিয়ে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন প্রচুর তথ্য আসে সিবিআই-এর হাতে। তাঁর মুর্শিদাবাদাদের বাড়িতে প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রচুর নথিও উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। সিবিআই-এর দাবি টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষকের চাকরি করে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। গত ১৫ জুলাই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেসাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ নেওয়ার মতো অভিযোগের পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়েরও।
আরও পড়ুন: "শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?" মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ব্যাংকের লেনদেন নজর রাখলেই বোঝা যায় যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণ সাহার প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। সিবিআইয়ের তরফে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে মেলা সমস্ত প্রমাণ কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। আর সেই প্রামাণ্য নথি খতিয়ে দেখে জীবনকৃষ্ণের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। তিনি জানিয়ে দেন, ওঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির এত প্রমাণ মেলার পর জামিন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, নাইসার আধিকারিক নিলাদ্রি দাস। তবু শিঁকে ছিঁড়ল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ভাগ্যে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।