৫৫ জন ভুয়ো শংসাপত্রধারী প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে আদালতের সামনে তুলে ধরেন মামলাকারীরা।
কলকাতা হাইকোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এরই মাঝে সামনে এল আরও এক অভিযোগ। এর আগেও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ভুয়ো’ জাতিগত শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার হাইকোর্টে উঠল সেই মামলা। হাইকোর্টে সেই অভিযোগ স্বীকারও করে নিলেন বেশ কয়েকজন মহকুমা শাসক। স্বত্বর ভুয়ো শংসাপত্র বাতিলের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
ভুয়ো শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) দেখিয়ে চাকরি হয়েছে এমন অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন হেমাবতী মাণ্ডি-সহ ৩ জন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক প্রার্থীকে বেদিয়া উপজাতি দেখিয়ে তফশিলি জনজাতির শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বীরভূম সদরের মহকুমাশাসক আদালতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে জানান, বেদিয়া উপজাতির ওই প্রার্থী তফশিলি জনজাতির মধ্যেই পড়েন। কিন্তু মুসলমানরা যে তফশিলি জনজাতিভুক্ত নন। বিষয়টিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।
৫৫ জন ভুয়ো শংসাপত্রধারী (Fake Caste Certificate) প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে আদালতের সামনে তুলে ধরেন মামলাকারীরা। ইতিমধ্যেই তালিকার ৩৩ জনের রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। এরই মধ্যে এদিন আদালতে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক জানান, মণ্ডল পদবি তফশিলি জনজাতিভুক্ত নয়। তিনি আরও জানান, জাতি শংসাপত্রটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেটি বাতিল করা হবে। পাশাপাশি ভুল স্বীকার করে নেন মালদহের মহকুমাশাসকও। অনেক মহকুমাশাসক এও দাবি করেছেন যে, আবেদনকারীরাই ভুল তথ্য দিয়ে শংসাপত্র নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চন্দ্রবাবু নাইডুর রোড শোতে ড্রেনে পড়ে মৃত্যু ৮ জনের
সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্মশিক্ষা বিষয়ে মোট ১৯৭৭ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জনের নাম ভুয়ো শংসাপত্রের (Fake Caste Certificate) তালিকায় উঠে এসেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মহকুমাশাসকদের রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাতে হবে। এরপরই আদালতে ভুল স্বীকার করে নেন মহকুমাশাসকরা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।