আশা কর্মীরা বন্ধ করে দিলেন কাজ! কেন জানেন?
বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আশা কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশা কর্মীদের জুতো মারা এবং চটি পেটার নিদান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের (Asansol)। এই অভিযোগে উত্তাল সালানপুরপুর ব্লক হাসপাতাল। সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আশা কর্মীরা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। আশা কর্মীদের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটরের কাছে দিলেন স্মারকলিপি। বিএমওএইচ-এর এই মন্তব্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন আশা কর্মীরা। যদিও এদিন সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযুক্ত বিএমওএইচ সুব্রত সিট হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। আশা কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর যতক্ষণ না বিএমওএইচ তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তাঁরা নিজেদের কাজে যোগ দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কী অভিযোগ জানালেন আশাকর্মীরা (Asansol)?
অন্যদিকে ডিস্ট্রিক্ট (Asansol) আশা কো-অর্ডিনেটর অমিত গুহ জানিয়েছেন, আশা কর্মীদের দেওয়া এই স্মারকলিপির বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন। আশা কর্মী চুমকি চ্যাটার্জি ও রেখা নন্দীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। পর্বতপুর এলাকার একজন শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই টিকা দেওয়ার পর জ্বরে আক্রান্ত হয় ওই শিশুটি। পরে ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ জানানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুটির পরিবারের লোকেদের কাছে মার্জনাও চেয়ে নেন। এরপর ফের ওই স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্লক হাসপাতালে ডেকে অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন বিএমওএইচ। পরিবারের সদস্যদের নিদান দেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের জুতো মারা ও চটি পেটার। এমনই অভিযোগ বিক্ষোভকারী আশা কর্মীদের।
গোটা ঘটনাটি মদ্যপ অবস্থায় সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (Asansol) সুব্রত সিট ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ আশা কর্মীদের। যদিও শেষ পর্যন্ত উত্তেজনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসে সালানপুর থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর আশা কর্মীরা তাঁদের বিক্ষোভ তুলে নেন। তবে বিএমওএইচ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আশা কর্মীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।