img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Baguiati: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বাগুইআটিতে খুন তৃণমূল কর্মী! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আটক ১৩

খাস কলকাতার বুকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ, দলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে

img

প্রতীকী ছবি

  2024-04-28 15:04:32

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। খাস কলকাতার বাগুইআটির (Baguiati) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম সঞ্জীব দাস। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাগুইআটির অর্জুনপুর এলাকার পশ্চিম পাড়ায় শনিবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। ঝামেলার পরে দুপক্ষ একে অপরের দিকে ইট ছুড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে এলেও পুলিশ চলে যেতেই আবার গন্ডগোল শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে।

ঘটনার বিবরণ

অভিযোগ, তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠী (Baguiati), অন্য গোষ্ঠী এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। দুপক্ষের ইট বর্ষণের জেরে মাথায় চোট পান সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা। আঘাত পেয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এই সময় তাঁর বাকি সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। তখনই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজনেরা সঞ্জীবকে ঘিরে ধরে ফেলে। তারপরে তাঁকে আহত অবস্থাতে নর্দমায় ফেলে লাথি ঘুসি মারা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, সঞ্জীব দাসকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী। এরপরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকেন সঞ্জীব। আহত অবস্থায় পরবর্তীকালে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। সঞ্জীবের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই ফের উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার (Baguiati) বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শুরু হয় পথ অবরোধ।

কী বলছেন মৃতের মেয়ে

মৃতের মেয়ে বলেন, “এর আগে অনেকবার আমার বাবার উপর আক্রমণ করা হয়েছে। একাধিকবার কেস করা হয়েছে। দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছে গিয়েছিলাম। তবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। পুলিশ এল তখন, যখন আমার বাবাটা মরে গেল। পুলিশ অভিযুক্তদের তুলে নিয়ে আসুক। ওদের কঠোর শাস্তি চাই।”  স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এলাকায় (Baguiati) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার রাতেও একাধিকবার দেবরাজ চক্রবর্তীকে ফোন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

TMC murder

Baguiati Murder

Baguiati


আরও খবর


ছবিতে খবর