অযোধ্যার রাম মন্দিরের দেওয়ালে বাংলার শিল্পকর্ম
এই ধরনের ম্যুরালেই সেজে উঠছে মন্দিরের প্রবেশপথ। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের সুনাম সারা বিশ্বে। এখানকার শিল্পীদের হাতের কাজ এবং শিল্প নৈপুণ্যের খ্যাতির কথা আজ আর কারও অজানা নয়। শিল্পীরা তাঁদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার। এবার এখানকারই টেরাকোটা শিল্প জায়গা করে নিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir)। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার ধরমপথের দু' ধারে সাজানো থাকবে কুড়ি ফুট বাই দশ ফুটের প্রায় ১০০ টি টেরাকোটার ম্যুরাল। কৃষ্ণনগরের শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার প্রায় ২৭ জন শিল্পীকে নিয়ে এই কাজ শুরু করেছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। ১০০ টি ম্যুরালই তৈরি হচ্ছে রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৩জন শিল্পী কাজ করছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে এবং বাকি ১৪ জন শিল্পী রয়েছেন কৃষ্ণনগরে শিল্পীর ওয়ার্কশপে।
গর্ববোধ করছেন শিল্পী (Ram Mandir)
শিল্পী জানালেন, প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে তাঁর শিল্পকর্ম রয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে সেখানেই ডাকেন এবং সংবর্ধনা দেন। শুধু তাই নয়, এই শিল্পের ব্যাপারে তিনি বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মূল প্রবেশপথ ধরমপথে এই শিল্প স্থান পাওয়াতে শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার গর্ববোধ করছেন। শিল্পী বিশ্বজিৎবাবু বলেন, এর আগে যেহেতু অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে আমি কাজ করেছিলাম, তা দেখেই তাঁরা খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরই ২০২৩ সালে আমাকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানান এবং কাজের বরাত দেন। আমি এই কাজ পেয়ে যথেষ্টই খুশি।
দিনরাত এক করে চলছে কাজ (Ram Mandir)
উল্লেখ্য রাম মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই এই উদ্বোধন ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানীয় ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আর কিছুদিন পরেই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। উদ্বোধনের আগেই যাতে কাজের বরাত শেষ করা যায়, সেই কারণে শিল্পীদের নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে বিশ্বজিৎবাবুর। তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, বাংলার এই শিল্পকর্মকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে তাঁরা কাজ করে চলেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।