STF: রাজ্যে ফের গ্রেফতার জঙ্গি, শোরগোল
কাঁকসা থানা (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলা থেকে আরও এক জঙ্গি (Terrorist Arrest) ধরা পড়ল। দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে শনিবার মহম্মদ হাবিবুল্লা নামে এক যুবককে গ্রেফতারের পর এমনটাই দাবি রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ)। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। নতুন করে জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় রাজ্যে বাংলাদেশের জঙ্গি মডিউল যে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে তা প্রমাণিত হল।
শনিবার কাঁকসায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(STF)। শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জানা গিয়েছে, মানকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লা। বছর কুড়ির ওই যুবক মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে। লেখা পড়ায় মেধাবী ছাত্র হিসেবেই এলাকায় পরিচিত হাবিবুল্লা। শনিবার দুপুরে কাঁকসার মীরে পাড়ার বাড়ি থেকে হাবিবুল্লাকে (Terrorist Arrest) গ্রেফতার করে এস টি এফ এর একটি দল। এস টি এফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরেই ওই যুবক বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সাথে রীতিমতো যোগাযোগ রাখত। বিষয়টি জানার পরেই তার ওপরে নজর রাখা হচ্ছিল। তার গতিবিধির ওপরে নজর রাখার পরেই একাধিক তথ্য-প্রমাণ হাতে আসতেই শনিবার অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে প্রথমে আটক করে নিয়ে আসা হয় কাঁকসা থানায়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকেও আটক করা হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জেরা। খতিয়ে দেখা হয় তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল। রাতেই তাকে একাধিক ধারায় গ্রেফতার করে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় এস টি এফ এর আধিকারিকরা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন (Terrorist Arrest) আনসার আল ইসলাম এর একটি মডিউল বাংলাদেশ ও বাংলায় সক্রিয়। শাহাদত নামে সেই মডিউলের প্রধান বা আমীর হিসাবে কাজ করতেন হাবিবুল্লা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই মডিউলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিশেষভাবে সুরক্ষিত বা এনক্রিপটিক মেসেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথাবার্তা বলতেন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা-র সঙ্গে যোগাযোগে থাকা আনসার আল ইসলামের মডিউল ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটাবে বলেই গোপনে কাজ করছিল বলে মনে করছে এসটিএফ।
এখনও পর্যন্ত ওই যুবক কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনা ছাড়া বেশিরভাগ সময় সে ল্যাপটপ ও মোবাইল নিয়েই পড়ে থাকত। বাড়ির বাইরে খুব একটা দেখা যেত না তাকে। এলাকায় মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত হাবিবুল্লা। কি কারণের সে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তা বুঝে উঠতে পারছে না এলাকার মানুষ। হাবিবুল্লার গ্রেফতারির খবরে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই কাঁকসা থানায় ভিড় জমান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। থানায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় জমায় নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার গোটা পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূল সমর্থক হিসেবেই তারা পরিচিত এলাকায়। একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ধৃত হাবিবুল্লাকে রবিবার আদালতে পেশ করা হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।