TET Scam: টেট নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য সরকারের ফের ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টে...
কলকাতা হাইকোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (TET Scam) ফের ৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বেআইনি ভাবে প্রাথমিকের স্কুলে চাকরি পাওয়া আরও ৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে মোট ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের মধ্যে ২৫৮ জনেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখল আদালত। আবার আজ এসএসসি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভর্ৎসনার সুরে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, “সিবিআইয়ের ম্যাজিক আবার কবে দেখব?”
বিচারপতির এজলাসে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন এই তিন শিক্ষক। কিন্তু আদালত তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাবেন না। প্রসঙ্গত, বেআইনি ভাবে এবং নিয়োগের নিয়ম না মেনে প্রাথমিকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছিল ২৬৮ জন শিক্ষকের। পরে সেই নির্দেশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই শিক্ষকেরা সুপ্রিম কোর্টে গেলেও লাভ হয়নি। গত বুধবারই ১৪৩ জন ও বৃহস্পতিবার ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। ফলে মোট ২৫৮ জনের চাকরি বাতিল করা হল।
আরও পড়ুন: আরও একমাস জেল হেফাজতে মানিক, আদালতে আত্মসমর্পণ স্ত্রী-পুত্রের
এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি। ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, ২০১৪ সালের ঘটনায় ৮ বছর পর মামলা দায়েরের পিছনে উদ্দেশ্য কী? মামলা খারিজ করা হোক। কিন্তু সওয়াল শুনে আদালত জানিয়েছে, এব্যাপারে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের যা বলার হাইকোর্টে বলতে হবে। মামলা খারিজের আবেদনও জানাতে হবে সেখানেই।
আজ, সোমবার এসএসসি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও কোনও আলো দেখা যায়নি।” তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তাঁরা দ্রুত আসল সত্য সামনে আনবেন। তাতে আরও হতাশ হয়ে পড়েন বিচারপতি। তার পর ফের সিবিআইকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আবার ম্যাজিক দেখব কবে?”