রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। শূন্য পদের সংখ্যা এগারো হাজারেরও বেশি।
TET Scam
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র ২১ জন নয়, ২০১৪ ও ২০১৭-র লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবেন ২০২২ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Tet Scam)। অর্থাৎ শুধুমাত্র মামলাকারির ২১ জন নয়, লক্ষাধিক টেট অনুত্তীর্ণরা পরীক্ষায় ফের বসতে পারবেন। এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে সংরক্ষিত বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরাই এই সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকাল টেট পরীক্ষা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়ার পরেই আজ ফের এক বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
গতকাল, ২১ জন পরীক্ষার্থীর মামলার (Tet Scam) প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জন এবং ২০১৭ সালের ১৬ জন, মোট ২১ জন অংশ নিতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এরা সকলেই অনুত্তীর্ণ বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু আজই এই নির্দেশ যে, এই পরীক্ষায় সমস্ত অনুত্তীর্ণরাই সুযোগ পাবেন, তবে কেবলমাত্র সংরক্ষিত বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরাই।
আরও পড়ুন: ৫০% নয়, ৪৫% নম্বর থাকলেই বসা যাবে প্রাইমারি টেটে, নয়া ঘোষণা পর্ষদের
চাকরি চুরির প্রতিবাদ বিক্ষোভে (Tet Scam) উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য। আর তারই মাঝে আবার নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। আবার ২০১৪ ও ২০১৭-র টেটে 'অনুত্তীর্ণ' এই প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য ফর্ম পূরণ করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শূন্য়পদের সংখ্যা এগারো হাজারেরও বেশি।
প্রসঙ্গত, মামলাকারিদের দাবি ছিল, টেটে 'অনুত্তীর্ণ' এই প্রার্থীরা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে। যার অর্থ, এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এখন এই ৫৪.৬৭-কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। এর পাশাপাশি, মামলাকারিদের আরও একটি দাবি রয়েছে। তাঁদের দাবি, ২০১৭ সালের প্রশ্নেও ৮টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ফলে প্রার্থীদের নম্বর আরও বাড়তেই পারে। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটের যে চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় ৮২ পেয়েছেন, তাঁরা সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০২২-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, একাধিক মামলা ইত্যাদির মাঝে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া (Tet Scam) সুষ্ঠুভাবে হবে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্যবাসী।