মালদার তৃণমূলের পরিচালিত পঞ্চায়েতের একী হাল? ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী
চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত, জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য দরবার এলাকাবাসীর (ইনসেটে)(নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ পাঁচ দিন, কেউ আবার পাঁচ বছর ধরে হন্য হয়ে ঘুরছেন। তবুও, মিলছে না জন্ম সার্টিফিকেট। পঞ্চায়েত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়ে উঠলেন এলাকার ভুক্তভোগী অভিভাবকেরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিষ্টার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতে গত বোর্ডেও তৃণমূল ছিল। এখনও তৃণমূল রয়েছে। এই পঞ্চায়েত অফিসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দফতরের কর্মচারীরা নিয়মিত দফতর খোলেন না। মাসের বেশিরভাগ সময় দফতর তালা লাগানো থাকে। দুপুর ১২ টা পেরিয়ে গেলেও দফতরের কর্মচারীদের দেখতে পাওয়া যায় না। নতুন জন্ম সার্টিফিকেট ও সংশোধনের জন্য বছরের পর বছর দফতরে হন্য হয়ে ঘুরতে হয়। তবুও, মেলেনা সার্টিফিকেট। জন্ম সার্টিফিকেট না থাকার কারণে আধার ও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারচ্ছেন না অভিভাবকরা। দফতরের কর্মচারীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে অভিভাবকদের ঘুরাচ্ছেন অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নুরগঞ্জ এলাকার মানেজা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা অভিযোগ করে বলেন, জন্ম সার্টিফিকেটে ছেলের নাম সংশোধনের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরছি। তবুও, করে দিচ্ছেন না সংশোধন। তিনমাস পরে আসতে বলেছিলেন। আমি পাঁচ মাস পরে এসেছি। তবুও, ঘুরে যেতে হচ্ছে। ছেলের বয়স ১০ বছর হয়ে গেছে। আধার কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরি করতে পারছি না। এমনকী ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জন্ম সার্টিফিকেট এর দফতরের এক কর্মচারী মহম্মদ মুস্তাকিম বলেন, কোনও অভিভাবক জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরেনি। অনলাইনে সংশোধন পোর্টালটি বন্ধ রয়েছে তাই হয়তো কয়েকদিন ঘুরতে হয়েছে। চালু হয়ে গেলে কাউকে আর ঘুরতে হবে না। আসলে দফতরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।