মূল্যবান ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ স্কটিশ চার্চ কলেজে
ডিজিটাইজেশনের কাজের সুচনা। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিংশ শতাব্দীর তিন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীল প্রভুপাদ ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। আর এক অদ্ভুত সমাপতন এই যে তিন দেশনায়ক উত্তর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন। এই কলেজে অধ্যয়ন কালে তাঁদের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও চেতনার উন্মেষ ঘটতে শুরু করে। কলেজের দিনগুলিতে গ্রন্থাগারে গিয়ে তাঁরা মাঝে মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থের মধ্যে ডুবে থাকতেন। আর এমনই সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কলেজের তৎকালীন ইতিহাস থেকে। এবার এই তিন মহাপুরুষের হাতের স্পর্শ পাওয়া দর্শনের সেই সব গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের (Digital Book) কাজ শুরু করল স্কটিশ চার্চ কলেজ। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'দর্শন এষণা'।
কী বললেন কলেজের অধ্যক্ষ (Digital Book)?
এই কাজে আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করেছে কলকাতার ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। কলেজের গ্রন্থাগারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডিজিটাইজেশন প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর মধুমঞ্জুরি মণ্ডল। তিনি বলেন, কলেজের জন্ম লগ্ন অর্থাৎ ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সংরক্ষিত প্রায় ১০০০ এর বেশি দুষ্প্রাপ্য দর্শনের বই রয়েছে কলেজের গ্রন্থাগারে। এই সব মহাপুরুষদের হাতের স্পর্শ পাওয়া গ্রন্থ সমূহ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হতে বসেছে। তাই অনেক দিন থেকেই এই সমস্ত বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করার পরিকল্পনা চলছে। সম্প্রতি কলেজের গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নেয় এই কাজ শুরু করার এবং সেই কাজ বর্তমানে চলছে। ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তাঁরা খুবই উপকৃত হলেন। এর ফলে মূল্যবান ইতিহাস রক্ষিত হতে পারল।
ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন্ত রুদ্র বলেন, প্রায় এক হাজার বই ডিজিটাইজ (Digital Book) করতে ৮ মাস সময় ধরা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দর্শনের বই ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে অন্যান্য দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের ডিজিটাইজেশনের কাজে তাঁরা কলেজের পাশে থাকবেন। ভবিষ্যতে কলেজের ওয়েবসাইট থেকেই এইসব পুস্তক পাঠ করার সুযোগ পাওয়া যাবে ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।