Mamata Banerjee: বাংলাদেশ ইস্যুতে মমতাকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন?
মমতাকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান এবং তাঁর মন্তব্যকে দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশ ইস্যুতে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা। কার্যত তাঁর বক্তব্য সামনে নিয়ে তাঁকে তুলোধনা করলেন।
সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি, যাতে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জকে বলে, যে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ওখানে একটা পিসকিপিং ফোর্স পাঠানো হোক।” তাঁর কথায়, “এটা কেন্দ্রের ব্যাপার। পররাষ্ট্রের ব্যাপার। তবে এও ঠিক যে, আমাদের অনেক বন্ধু আত্মীয়স্বজন বাংলাদেশে রয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি যেখানেই আক্রান্ত হোক আমরা নিন্দা করি। আমরা চাই শান্তি ফিরুক। তা নিশ্চিত করা হোক। এই সভা থেকে প্রস্তাব নেওয়া হোক যে আমাদের বন্ধুদের ওপর যেন অত্যাচার না হয়।”
মুখ্যমন্ত্রীর পররাষ্ট্রের দিকে বল ঠেলে দেওয়ার ব্যাপারটাকে হাতিয়ার করেই দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “যখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছিল, যখন হাসিনা সরকার দমনপীড়ন চালাচ্ছিল তখন মমতা আহ্বান করেছিলেন যে 'যাঁরা আক্রান্ত হবেন আসুন আমি শেল্টার দেব। তখন ওঁর পররাষ্ট্রের কথা মনে পড়েনি?” শুভেন্দুর কথায়, “এখন যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, শুধু বাংলাদেশ কেন গোটা পৃথিবী জুড়ে যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন তখন হিন্দু সনাতনীরা রাস্তায় নেমেছেন। জনবিস্ফোরণ হচ্ছে। ওঁর দলের হিন্দুদের মধ্যেও ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে, তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিকে দায়িত্ব ঠেলছেন। দায়িত্ব ওঁকেও নিতে হবে। একই অঙ্গে বিভিন্ন রূপ না দেখিয়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করুক।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর
সনাতনী হিন্দু সংগঠনের ডাকে সোমবার দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে হিন্দুদের জোট বাঁধার ডাক দেন তিনি। এর পর হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে পদযাত্রা করেন। সেখানে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান। তার পর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাস ধরে অভিবাসন কেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। সকাল থেকেই এই চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। হাতও মেলান। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেছে। এরা কোনও বিজেপি নয়। হিন্দুরা জোট বাঁধছে।’’
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘‘এটা আমরা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে এর পরের সপ্তাহে, প্রভু মুক্তি না পেলে আমরা ৫ দিন বন্ধ করব। তারপরে আমরা ২০২৫ সালে লাগাতার বন্ধ করে ওদের আলু-পেঁয়াজ কী করে খায় আমরা সেটা দেখিয়ে দেব। ভারতের পতাকা যারা পদদলিত করেছে, '৭১-এর রাজাকারের মতো, যেমন পাকিস্তানে আমি চিফ আত্মসমর্পণ করেছিলেন, এই রাজাকারের নতুন বাচ্চাদের ভারত আত্মসমর্পণ করাবে। ভারত আজ একটা দেশ নয়, পৃথিবীর একটা শক্তিশালী রাষ্ট্র নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।