ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোট নিয়ে ফের কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?
হাইকোর্ট, ঝালদা পুরসভা (ইনসেটে) (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতি এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। কিন্তু, বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নতুন নির্দেশ মেনে আগামী ৮ ডিসেম্বর পুরসভায় আস্থাভোট হচ্ছে না।
ঝালদা (Jhalda) পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলা করেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুও। পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলার এবং দু'জন কংগ্রেস কাউন্সিলার পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোট করাতে হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তা নিয়ে রিপোর্টও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বুধবার বিচারপতি সিংহের সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানায়, চেয়ারপার্সন অপসারণের পৃথক এবং নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। চেয়ারপার্সনকে অপসারণের ক্ষেত্রে সেই নিয়মই মেনে চলতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালত এই বিষয়ে আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দিতে পারে না। পুরসভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। সে ক্ষেত্রে পুরসভা যদি মনে করে, আস্থাভোট করানো প্রয়োজন, তা হলে তা-ই হবে।
প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যানকে সরাতে চেয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই আদালতে যায়। তবে, এবার আস্থাভোট না করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।