নৈহাটিতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু, কী বললেন পরিবারের লোকজন?
আত্মঘাতী শিক্ষকের স্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছরের ছেলে এবং ৯ বছরের মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাবা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি (Naihati) শিবদাসপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জ্যোতিপ্রকাশ মণ্ডল, জয়মাল্য মণ্ডল (৫) এবং লাজবন্তী মণ্ডল (৯)। মঙ্গলবার এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রকাশবাবু পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষক। তিনি নৈহাটির (Naihati) বুদরিয়া এলাকায় থাকেন। দশ বছর আগে লাবনী মণ্ডলের সঙ্গে জ্যোতিপ্রকাশের বিয়ে হয়। তাঁদের প্রথমে কন্যা সন্তান হয়। পরে, পুত্র সন্তান হয়। এলাকায় এক মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে বলে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল লেগেই থাকত। জানা গিয়েছে, সোমবার লাবনীদেবীর এক আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় তিনি বাপের বাড়়ি চলে যান। বাড়িতে দুই সন্তানকে রেখে যান। প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেলে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হন জ্যোতিপ্রকাশবাবু। আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার মাঠের মধ্যে দুই সন্তানকে স্থানীয় বাসিন্দারা পড়ে থাকতে দেখেন। আর জ্যোতিপ্রকাশবাবু দেহ উদ্ধার হয় মাঠের মধ্যে একটি শ্যালো মেশিনের ঘরে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জ্যোতিপ্রকাশ শিক্ষক হিসেবে ভালো। তিনি ভালো মানুষও ছিলেন। সন্তানদের তিনি খুব ভালোবাসতেন। প্রতিদিন বিকালে মাঠে খেলা করতে নিয়ে যেতেন। সেই মানুষ এভাবে নিজের সন্তানকে মেরে দেবে তা ভাবতেই পারছি না।
এদিন বিষয়টি জানার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করেন। জ্যোতিপ্রকাশবাবুর স্ত্রী লাবণী মণ্ডল বলেন, আমার ঠাকুমা মারা গিয়েছেন বলে আমি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু, ও এভাবে আমার সন্তানদের খুন করে দেবে আমি ভাবতে পারিনি। এর আগেও ও আমাকে একবার খুন করার চেষ্টা করেছিল। আমি ভাগ্য জোরে বেঁচে গিয়েছিলাম। ও আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিল। আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। তবে, এভাবে আমার সন্তানদের ও খুন করে সব শেষ করে দেবে তা ভাবতে পারিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।