Snowfall: টানা বৃষ্টি আর ধসের জেরে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিকিম পৌঁছানোর বিকল্প রাস্তার কী অবস্থা?
সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। পুজোর ছুটিতে অনেকেরই ডেস্টিনেশন হয় পাহাড়। ব্যাগপত্র গোছানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে অবিরাম বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। নামছে ধস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। কার্যত বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুজোর ছুটির মুখেই মন ভালো করা খবর এল সিকিম (Sikkim) থেকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার উত্তর সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, এটাই এই মরশুমের প্রথম তুষারপাত। দুপুর নাগাদ একটু একটু করে তুষারপাত (Snowfall) শুরু হয়েছিল। চলে বেশ খানিক ক্ষণ। ফলে, তুষারপাতের আমেজ নিতে পর্যটকরা কীভাবে যাবেন তা নিয়ে পর্যটকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি আর ধসের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। তবে, যাঁরা পুজোয় সিকিমের (Sikkim) দিকে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এবার দারুণ সুখবর রয়েছে। বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকল সিকিমের ছাঙ্গু ও চোপ্তা ভ্যালি। এই খবর পেয়ে যারপরনাই আনন্দে আত্মহারা হবেন পর্যটকরা। যে পর্যটকরা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন, বছরের প্রথম তুষারপাত হতেই তাঁরা উচ্ছ্বসিত। তুষারপাতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আসন্ন পুজোর ছুটির মরশুমে পর্যটকরা তুষারপাতের টানে পাহাড়মুখী হবেন বলে তাঁদের আশা। তবে, টানা ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিকিম (Sikkim) যেতে হলে পর্যটকদের গরুবাথান, লাভা পেরিয়ে আলগাড়া হয়ে যেতে হবে। তা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু, সেখানেও বিপদ! গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে যে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের যোগ্য ছিল, সেটিও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। খুব প্রয়োজন না থাকলে সেই রাস্তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সেজন্যই পর্যটকদের আগমন নিয়ে চিন্তায় সিকিমের হোটেল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে
গত দু’দিন ধরে টানা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সিকিমেও (Sikkim) ভারী বর্ষণ চলছে। দু’দিনের ভারী বর্ষায় ফুঁসছে তিস্তা-সহ অন্যান্য নদী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। প্রায় লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত উত্তরে বৃষ্টি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার তুষারপাত (Snowfall) হতে পারে বলে আগেই অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, "নামচি জেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমেছে। যে কারণে ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়। আগামী দু'দিনও সেখানে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি গোট পাহাড়ে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।" সিকিমের (Sikkim) ব্যবসায়ীদের এখন একটাই প্রার্থনা, বৃষ্টি যেন দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। যাতে তুষারপাতের আমেজ নিতে রাজ্যে আসতে পারেন পর্যটকরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।