"দু’হাত বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে স্বাগত জানাচ্ছি", মন্তব্য রাজ্যপাল বোসের
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তার পালটা দিলেন রাজ্যপাল বোস। ভিডিয়ো বার্তায় মমতার ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ কার্যত গ্রহণ করে নেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমার সম্মানীয় সহকর্মী। তাঁকে রাজভবনে স্বাগত। তিনি রাজভবনের ভিতরে এসেই তাঁর যাবতীয় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। রাজভবনের সম্মাননীয় অতিথি হয়েই আসতে পারেন প্রতিবাদ জানাতে।’’
এদিন ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলা ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'কাজ করার জন্য আমি বাংলায় এসেছি। আমি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। নতুন প্রজন্মের বিকাশের কথা মাথা রেখে বিশ্ববিদ্যালগুলি দুর্নীতি ও হিংসামুক্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে সেরা হোক। আমার মতে এটা সম্ভব। কারণ আমাদের রাজ্যে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন, গুণী অধ্যাপকরা রয়েছেন। সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারত সেরা হতে পারে।' রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘শিক্ষা মাফিয়াদের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। ক্যাম্পাসের নরখাদকদের তাদের অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মেধানাশকারী যে হিংসা চলছে, তাতে অবিলম্বে দাঁড়ি টানা দরকার।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ধরনার হুঁশিয়ারি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বোস। রাজ্যপাল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনের ভিতরেও স্বাগত। যা প্রতিবাদ করার বাইরে নয়, রাজভবনের ভিতরে এসে করুন।'
আরও পড়ুন: ‘‘একুশের শতক এশিয়ার শতক’’! আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটে কী বললেন মোদি?
উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে তাঁর করা পদক্ষেপের পক্ষেও সাফাই দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য উপাচার্য থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা দফতর উপাচার্য নিয়োগ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা করেছে। সেই কারণে উপাচার্যদের চলে যেতে হয়েছে। সেই অবস্থায় আমি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছি। শিক্ষা দফতর বলল এটা ভুল এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট বলছে এটা ঠিক। সরকার মনোনীতদের উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল, কারও বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে। কেউ আবার রাজনৈতিক খেলা খেলছিল। এটা খুব দুঃখজনকে যে পাঁচজন উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তাঁরা আমাকে জানিয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের তরফে চাপ তৈরি করা হয়েছে।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।