কোচবিহারের পর মুর্শিদাবাদেও মমতার প্রশাসনের বাধার মুখে রাহুল!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী এবং অধীর চৌধুরী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোট (Indi Alliance) একেবারে ঘেঁটে ঘ। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। বুধবার তৃণমূল নেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল একাই লড়াই করবে। রাহুল গান্ধী না জানিয়ে বাংলায় আসায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জেরেই কয়েকদিন আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চ খুলে দেয় মমতার পুলিশ। এমনকী শিলিগুড়িতে রাহুল গান্ধীর সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। এ বার অধীরের লোকসভা কেন্দ্রেই রাহুলের সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে আবার ২৮ জানুয়ারি বাংলায় আসবেন রাহুল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে থাকার কথা তাঁর। রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের রাত্রিবাসের জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি প্রশাসন বাতিল করে দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশাসনিক সভা রয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। রাজ্য সরকারের সভা পূর্ব নির্ধারিত। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক তাদের জানিয়ে দিয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়াম দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসাবে নিকটবর্তী এফইউসি মাঠ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, কংগ্রেসের দাবি, ওই মাঠে রাহুল এবং তাঁর গোটা টিমের রাত্রিবাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গাই নেই। স্বাভাবিকভাবে বার বার রাহুলের সভা বা কংগ্রেস কর্মীরা মমতার প্রশাসন, পুলিশের বাধার মুখে পড়ায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা বহুদিন আগে স্টেডিয়াম চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম। এতদিন কিছু বলেনি। কিন্তু, আমাদের কর্মসূচির দুদিন আগে অনুমতি বাতিল করার ঘটনা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
তৃণমূলের জেলা নেতা অপূর্ব সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত। আর এটা তৃণমূল বাধা দিয়েছে এমন নয়। প্রশাসন মনে করেছে বলেই অনুমতি দেয়নি। আর অন্য কে কোথায় সভা করবে, সেটা তাঁদের দলীয় ব্যাপার। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জোট (Indi Alliance) ভেস্তে দেওয়ার জন্য অধীর চৌধুরীকে দায়ী করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।