Barrackpore: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন পাঁচ হাজার শ্রমিক

বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই রাজ্যের বেহাল শিল্পের করুণ চিত্র
Barrackpore_(3)
Barrackpore_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজো মানে এক সময় বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সাজো সাজো রব ছিল। পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই কারখানার কর্মীরা আনন্দে মেতে উঠতেন। এখন একের পর এক কারখানা বন্ধের মুখে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এখন হাতে গোনা কয়েকটি জুটমিল চালু রয়েছে। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো। তার আগের দিনই বন্ধ হয়ে গেল ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিল। এক লহমায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক। মাস দু'য়েক আগে বন্ধ হয়ে যায় অন্নপূর্ণা জুটমিল। ফলত, একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। তাই, বিশ্বকর্মা পুজো থাকলেও এই কর্মহারা শ্রমিকদের কাছে এখন তা অর্থহীন।

কেন বন্ধ হল রিলায়েন্স জুটমিল?

জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিলে মিলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েকদিন আগে এক শ্রমিকের ঝামেলা হয়েছিল। মিল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শ্রমিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে, অন্য এক শ্রমিকের সঙ্গে এক মিল আধিকারিকের বচসা হয়। মিলের স্থায়ী কর্মীকে বসিয়ে রেখে ঠিকা কর্মী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল। এনিয়ে দুজন শ্রমিক সরব হন। ফের গন্ডগোল বাধে। এরপরই আগাম কোনও কিছু না জানিয়ে এদিন মিল কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দেয়। কাজের অর্ডার নেই, অজুহাত দেখিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকরা।

কী বললেন শ্রমিকরা? (Barrackpore)  

এক সময় হাওড়ার পাশাপাশি এই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চল ছিল রাজ্যের মধ্যে অন্যতম শিল্পনগরী। আজ সেই শিল্পনগরী যেন শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়েছে। একের পর এক কারাখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে শ্রমিকদের সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ। কমে গিয়েছে পুজোর জৌলুস। অন্যান্য সময় পুজোর আগের দিন শ্রমিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন আয়োজনে। শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও ঠাকুর আনা, বাজার করা, ভোগ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এখন সে সবই ম্লান হয়ে গিয়েছে। অনেক শ্রমিকই আর্থিক অনটনে দিন কাটাচ্ছেন। শ্রমিকদের কাছে পুজো তাই অর্থহীন। এক শ্রমিক বললেন, আজকের দিনে আমরা ব্যস্ত থাকতাম। অনেক সময় তো ছেলেমেয়েদের নতুন জামাও কিনে দিয়েছি। এই পুজোই আমাদের কাছে উৎসবের সমান ছিল। আর আজ কিছুই নেই। এবার কারখানাটাই বন্ধ হয়ে গেল। তাই পুজো হবে না। কীভাবে সংসার চালাবো তা বুঝতে পারছি না। এক শ্রমিক বলেন, শনিবার রাতেও আমরা কাজ করে বাড়ি গিয়েছি। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে দেখি কারখানা বন্ধ। কেন বন্ধ হল বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে কারখানা চালু করতে হবে।

জুটমিল বন্ধ নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

সাংসদ অর্জুন সিং বলছেন, "বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে কিছু কারখানা বাম আমলেই বন্ধ গিয়েছে। আর কিছু কারখানা চলতি সরকারের আমলে বন্ধ হয়েছে। তবে জুট শিল্পের ভবিষ্যত খুব খারাপ। জুট মিলগুলির মালিক পক্ষ ঠিকাকর্মী রাজ চালু করায় আজ পাটশিল্পও ধুঁকছে। এই ঠিকাদারি প্রথা শেষ না হলে জুট শিল্পটাই শেষ হয়ে যাবে। এই জুটমিলও এদিন সেই কারণেই বন্ধ হয়ে গেল।"

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles