img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

রহড়ার প্লাস্টিকের কারখানায় ৩৪ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছিল। দুমাস হতে চলল অর্ধেক টাকার খোঁজ নেই। মূল দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

img

ফাইল ছবি

  2023-03-11 18:12:55

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বড় কোনও ডাকাতির ট্র্যাক রেকর্ড তাদের পুলিশের খাতায় নেই। খুচরো অপরাধের সঙ্গে কামারহাটির ওই যুবকদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এক ট্রিপেই তাদের কেল্লাফতে। রহড়ার ডাঙাদিঘলায় প্লাস্টিকের কারখানায় কামারহাটির কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখানে হানা দেয়। কারখানা থেকে ৩৪ লক্ষ লুঠ (Loot) করে পালায় দুষ্কৃতীরা। কয়েকজন বন্ধু মিলে এতবড় ডাকাতি করতে পারে তা পুলিশ ভাবতেও পারেনি। এখন তারাই পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে। যদিও লুঠ হওয়া ৩৪ লক্ষের মধ্যে ১৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর এই ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দুজন সরাসরি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভিনরাজ্যে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। আর বাকি টাকা অভিযুক্তরা কোথায় রেখেছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এর আগে এই ভাগের টাকা গচ্ছিত করার অভিযোগে মহম্মদ রাজা নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন সরাসরি যুক্ত থাকলেও আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রের মধ্যে ছিল। গত দুমাসে কয়েক দফায় ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজনের এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ। তারা কোথায় রয়েছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন,  তদন্তে নেমে আমাদের সামনে বেশ কিছু সূত্র সামনে এসেছে। অর্ধেকের বেশি টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। বাকী টাকার খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

লুঠ করা টাকা নিয়ে কী করেছিল অভিযুক্তরা? Loot

ডাকাতির ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে নিয়েছিল। ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। লুঠ (Loot) হওয়া  বাকী টাকার হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি।  ডাকাতির ঘটনার মূল দুই অভিযুক্ত ডাকাতির অর্ধেক টাকা নিয়ে ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। ধৃত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তাদের নাগাল পায়নি পুলিশ। ডাকাতির পর পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, এই ডাকাতির ট্রিপ যে দিয়েছিল, সেই ট্রিপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর একটি সূত্র থেকে জানতে পেরে মহম্মদ রাজা নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, ধৃত রাজা সম্পর্কে সনুর ভাই। এই সনু দক্ষিণেশ্বরে একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ হোটেলে হানা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালিয়েছিল। তাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। সনুকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এখনও এই ডাকাতির মূল মাস্টার মাইন্ড অধরা রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি কাঁকিনাড়া। আর বাকী সকলের বাড়ি কামারহাটি এলাকায়।  তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ৫ জানুয়ারি রহড়ার ডাঙাডিহিলায় প্লাস্টিকের কারখানায় ডাকাতির আগেই ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রহড়ার একজনের কাছে ট্রিপ পেয়েছিল। ডাকাতি করার আগে কারখানার খুঁটিনাঁটি সব কিছু জেনে নিয়েছিল সে। এরপরই কামারহাটির বাকী বন্ধুদের সে খবর দেয়। মোটা টাকার লোভে সকলেই মিলে ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে কারখানায় হানা দেয়।কারখানার কর্মীদের হাত পা বেঁধে রেখে ৩৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা চম্পট দেয়।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Arrest

police

Loot

kamarhati

dacoits

rahara

kakinara

plastic factory


আরও খবর


ছবিতে খবর