জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের পিছনে আর কার কার নাম সামনে আসছে?
তৃণমূল নেতা খুন কাণ্ডে দুই অভিযুক্ত আনিসুর লস্কর (বাঁদিকে), আলাউদ্দিন সাঁপুই (ডানদিকে) (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার সময় যত গড়িয়েছে ততই পরিষ্কার হয়ে উঠছে এই খুনের কারণ। গত সোমবার বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। এরপর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জয়নগর এলাকায়। তবে নেতা খুনের ঘটনায় দলুয়াখাঁকির যোগ রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। এই গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আনিসুর লস্কর এমনটাই পুলিশ সূত্রে দাবি। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছিল তাতে নাম আছে তার। তাঁর বাড়ি দলুয়াখাঁকি এলাকায়। তিনি এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত। নদিয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেখানেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
কেন খুন করা হল সইফুদ্দিনকে? (Jaynagar)
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সুপারি কিলার দিয়েই জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাই, সবকিছুই পরিকল্পনা মতো হয়েছিল। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তথ্য- ১) ক্রমশ এলাকায় সইফুদ্দিন শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। এমনকী তিনি শাসকদলের নেতা হওয়ায় এলাকায় বিরাট অট্টালিকা থেকে শুরু করে প্রচুর টাকা-পয়সা করে ফেলেছিলেন। ২) একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ঝামেলা চলছিল। এমনকী পারিবারিক বিবাদও ছিল দীর্ঘদিনের। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রায় ১ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জয়নগর, বকুলতলা, কুলতলি, বারুইপুর, মন্দিরবাজার পুলিশ অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী একটি স্পেশাল পুলিশ টিমও গঠন করা হয়েছে। টিমের মাথায় রয়েছেন পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ।
খুন কাণ্ডে বড় ভাইয়ের নাম সামনে আসছে, কে সে?
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত সাহারুল লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদে যে বড় ভাইয়ের নাম উঠে এসেছে, সেই বড় ভাই কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত জয়নগর (Jaynagar) খুন কাণ্ডে পুলিশের সামনে নাসির হালদার এবং আলাউদ্দিন নামে দুজনের নাম সামনে এসেছে। এই আলাউদ্দিন নাকি নাসির বড় ভাই, তা এখনও পর্যন্ত পুলিশ তা জানতে পারেনি। তবে, দুজনের বাড়ি মন্দিরবাজার থানার টেকপাঁজা এলাকায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ধৃত সাহারুল ঘটনার পর চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফ নামে যে ব্যক্তির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল তিনিও এলাকায় সিপিএম কর্মী বলেই পরিচিত। তবে, ঘটনার পর থেকে সবাই ঘরছাড়া রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, এরা একদিকে যেমন সিপিএম কর্মী বা সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ছিল, ঠিক তেমনি কেউ দর্জির কাজ, আবার কেউবা ফেরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এই ঘটনায় যে সমস্ত অভিযুক্তের নাম উঠে আসছে তা তাদের সঠিক নাম কিনা তা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি পারিবারিক শত্রুতার কারণে খুন করা হয়েছে সইফুদ্দিনকে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।