ঝাড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল
আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বিজেপি প্রার্থীর কনভয় থামিয়ে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া অঞ্চলের কাঠুয়াপালে ওই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রথমে তাঁকে সাঁকরাইলের ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে রেফার করা হয়। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার সাঁকরাইল ব্লকের (Jhargram) বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ছিল বিজেপি প্রার্থীর। দুপুরে রোহিণী মন্দিরে পুজো দিয়ে কাঠুয়াপাল গ্রামে যাচ্ছিলেন প্রণত। সেখানে এক কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার আয়োজন ছিল। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ফাটানো হয়। এরপরই তৃণমূলের রগড়া অঞ্চল সভাপতি পঞ্চানন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন তেড়ে এসে প্রণতের গাড়ি থামান বলে দাবি। তাঁর সঙ্গী, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায়ের দাবি, "আচমকা তৃণমূলের পতাকা নিয়ে কিছু লোক প্রার্থীর কনভয় থামিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। ওই পথ দিয়ে যাওয়া চলবে না বলে ফতোয়া দেয়। এরপর প্রণতবাবুকে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল, চড়, ঘুসি মারা হয়। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হল। তাঁর বুকে আঘাত করা হয়।" বিজেপি কর্মীরা প্রণতকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ইটের আঘাতে এক পুলিশকর্মী জখম হন। জয়ন্তের অভিযোগ, "তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। যে কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা ছিল, সেখানেও তৃণমূলের লোকজন বাধা দেয়।” প্রতিবাদে কাঠুয়াপালের রাস্তায় কিছুক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে, সাঁকরাইল থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথা মোড় সহ একাধিক জায়গায় অবরোধ চলে। রাতে সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাত। অভিযোগপত্রে তুফান জানিয়েছেন, হামলাকারীরা প্রণতকে জাত তুলে গালিগালাজ করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের রগড়া অঞ্চল সভাপতি পঞ্চানন দাস বলেন, "ওই এলাকায় ওদের পতাকা ধরার লোক নেই। বাইরের লোকজন নিয়ে অশান্তি করেছে।' জেলা তৃণমূলের সধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, এলাকায় বিজেপির কোনও চিহ্ন নেই। ভোট পাবে না বলে এসব নাটক করেছেন প্রার্থী। যাতে প্রচারের আলোয় আসেন।
জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলছেন, "ঘটনাটি জেনে ওই এলাকায় ফ্লাইং সার্ভিলেন্স স্কোয়াড পাঠানো হয়। পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।" তবে ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।