প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার উপর হামলা, কেন জানেন?
আক্রান্ত তৃণমূল নেতা ফিরোজ শেখ (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শহর তৃণমূলের সভাপতিকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকায়। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম ফিরোজ শেখ। তিনি জঙ্গিপুর তৃণমূলের শহর কমিটির সভাপতি এবং পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জঙ্গিপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান। হামলা যারাই করুক ঠিক হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর পুরসভায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলারদের একাংশের মতবিরোধ চলছে। দলের মধ্যেও এই নিয়ে চর্চা রয়েছে। পুরপ্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে ফিরোজের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ দুয়ারে সরকার শিবির থেকে এক জনের বাইকে চড়ে ফিরোজ রঘুনাথগঞ্জ থেকে জঙ্গিপুর পুরসভায় যাচ্ছিলেন। জঙ্গিপুর শহরের 'কিছুক্ষণ' লজের পাশে একটি প্রাথমিক স্কুলের সামনে তৃণমূলেরই জন ১৫ কর্মী সমর্থক বাঁশ, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে অতর্কিতে ফিরোজ ও তাঁর সঙ্গীর মোটরবাইক আটকে হামল চালায়। ফিরোজ বাইকের পিছনে বসেছিলেন। তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। চোখের সামনে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্যে মারতে দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয় পড়েন। জঙ্গিপুর পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক গোষ্ঠীর হাতে এই ভাবে দিনেদুপুরে আক্রান্ত হলেন দলের শহর সভাপতি। এই ঘটনায় শহর জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়, কারণ ফিরোজ এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী ও দাপুটে কাউন্সিলার।
তৃণমূল পরিচালিত জঙ্গিপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরি বলেন, পুরপ্রধানের সঙ্গে চলতে থাকা বিবাদের জেরে তাঁর অনুগামীরা এই হামলা চালিয়েছে। ফিরোজ তাদের চিনেছে এবং নামধামও বলেছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে অক্সিজেন চলছে তাঁর। পুলিশ, দলের সভাপতি খলিলুর রহমান সহ সকলকেই এই হামলার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কারা ছিল এই হামলায় তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।
পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম অবশ্য বলেন, কে মেরেছে, কেন মেরেছে কিছুই জানি না। বাড়ি থেকে হাসপাতালে যেতাম ফিরোজকে দেখতে। শুনলাম তাঁকে বহরমপুরে রেফার করা হয়েছে। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মধ্যে। সবটাই মিথ্যে দোষারোপ করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।