হুগলির এই তৃণমূল নেতার কীর্তি শুনলে চমকে উঠবেন, কী করেছে জানেন?
ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে কোটি টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) মগরা থানার ত্রিবেণী এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম দেবরাজ পাল। তিনি বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি। দেবরাজ জমি-বাড়ি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। অন্য ব্যবসাও রয়েছে। দেবরাজের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বেআইনি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। এলাকায় তাঁর ভাল রকম দাপট ছিল। মহম্মদ কামালউদ্দিন নামে ওই ব্যবসায়ী পূর্ব বর্ধমানের গোলাপবাগের বাসিন্দা। মাস দু'য়েক আগের এই ঘটনায় তিনি সম্প্রতি মগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই ব্যবসায়ী পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। পরে, পুলিশের শীর্ষ কর্তা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি নালিশ জানিয়েছেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) মগরা থানার অদূরে হাঁসগড়া এলাকায় জিটি রোডের পাশে ৮ বিঘা জমিতে কামালউদ্দিনের পরিচিত এক জনের হিমঘর কোনও কারণে ব্যাঙ্কে বন্ধক ছিল। কামালউদ্দিন সেটি ব্যাঙ্ক থেকে কিনে নেন ভাই আজিবউদ্দিনের নামে। হিমঘরটি কিনতে চেয়ে দেবরাজ কামালউদ্দিনকে ফোন করেছিলেন। কামালউদ্দিন সাড়ে ৭ কোটি টাকা দাম বলেন। এরকিছু দিন পরে, গত ৯ অগাস্ট জনা পঞ্চাশ লোক নিয়ে হিমঘরে আসেন দেবরাজ। তাঁর এবং অন্য এক যুবকের হাতে বন্দুক ছিল। প্রাণের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাঁকে ত্রিবেণী কালীতলার কাছে কোনও একটি জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে এক কোটি টাকা দাবি করে। দরাদরিতে ৫০ লক্ষ টাকা ঠিক হলে কামালউদ্দিনকে ছাড়া হয়। কামালউদ্দিনের দাবি, ওই মাসেই তিনি ১৭ লক্ষ টাকা দেন দেবরাজকে। বাকি ৩৩ লক্ষের জন্য দেবরাজ ফোনে চাপ দিতে থাকেন। ভয়ে মগরায় আসা বন্ধ করে দেন ওই ব্যবসায়ী। শেষে পুলিশ- প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবরাজ পালের বক্তব্য, কামালউদ্দিন নামে কাউকে চিনিই না। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী বলেন, থানায় অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা কাজ করতে পারব না।
তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, দেবরাজ আগে আমাদের দলে ছিলেন। এখন ওঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ দোষ করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে, সে যে-ই হোক।
এ ব্যাপারে হুগলি (Hooghly) জেলার এক পুলিশকর্তার বক্তব্য, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তোলাবাজি, মারধর, প্রাণনাশের হুমকির মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।