বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে আসছেন রাষ্ট্রপতি। বিষধর সাপের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের।
ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুড়ে সাজ সাজ রব। আর পাঁচদিন পর ২৮ মার্চ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি (President of India) দ্রৌপদী মুর্মু আসছেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম রাজ্য সফরে আসছেন তিনি। তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কড়াকড়ি থাকবে। রাষ্ট্রপতির (President of India) নিরাপত্তায় কোনও ধরনের খামতি রাখতে নারাজ ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি, জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। সেই কারণে দেশের প্রথম নাগরিকের সফরের আগেই শান্তিনিকেতন সহ যে যে সম্ভাব্য জায়গায় তিনি যেতে পারেন, তা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে, বিষধর সাপই এখন রাষ্ট্রপতির (President of India) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। ফলে, নিরাপত্তার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বনদপ্তরের কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার সাপ ধরায় পারদর্শী বন দপ্তরের একটি দল বিশ্বভারতী গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির (President of India) সফরকে ঘিরে তুঙ্গে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটির নির্দেশে শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সফরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি (President of India) যে সকল সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে যেতে পারেন, তাও পরিদর্শন করেন আধিকারিকরা। রবীন্দ্র ভবন, রবীন্দ্র অতিথি গৃহ, বিনয় ভবন লাগোয়া হেলিপ্যাডও ঘুরে দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। রাস্তার ধারে থাকা বিভিন্ন আগাছা ছেঁটে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিষধর সাপ। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিদর্শনের সময় সাপের উপদ্রবের বিষয়টির কথা আধিকারিকরা জানতে পারেন। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীতে বিষধর সাপের উপদ্রব রয়েছে। জঙ্গল ঘেরা লালবাঁধ, পম্পা লেকে বিষধর সাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপকরা। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির সফর চলকালীন স্নেক ক্যাচার রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা।
বিষধর সাপ নিয়ে কী বক্তব্য বনদপ্তরের? President of India
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রভবনের অতিথিশালা, শ্যামলী, কোনার্ক, উদয়ন, লালবাঁধ, পম্পা লেক এই এলাকাগুলিতে প্রচুর ঝোঁপ-জঙ্গল রয়েছে। তার উপর সূর্যের আলো না পড়ায় স্যাঁতসেতে। তাই সাপের আশ্রয়স্থল। সাপের উপস্থিতি দেখেই ঘুম গিয়েছে রাষ্ট্রপতির (President of India) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। সঙ্গে সঙ্গেই বন দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপরেই বনদফতরের আধিকারিকরা বিশ্বভারতীতে যান। এডিএফও শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, বুধবারই বন দফতরের টিম বিশ্বভারতীতে গিয়ে পরিদর্শন করেছে। আমি নিজেও গিয়েছিলাম। উদয়ন, কলাভবনের বেশ কিছু জায়গায় সাপ আছে। ইতিমধ্যেই বন দপ্তরের একটা টিম বিশ্বভারতীতে পৌঁছে গেছে। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব নেওয়া হবে। আজ থেকে রাষ্ট্রপতির (President of India) সফর শেষ হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতীতে থাকবে ওই দলটি। আমাদের দিক থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।