মানিকতলার রাস্তায় ঝাড়ু হাতে সুকান্ত, কী বললেন ডেঙ্গি নিয়ে?
মানিকতলায় ব্লিচিং ছড়াচ্ছেন সুকান্ত ( সুকান্ত মজুমদারের ফেসবুক থেকে পাওয়া ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিকতলার রাস্তায় ঝাড়ু হাতে সুকান্ত। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ছড়ালেন ব্লিং পাউডারও। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এনিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থ রাজ্য সরকার! কলকাতার মানিকতলা রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করলাম এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়ালাম।’’ তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Mazumdar) আরও বলেন, ‘‘এদের আমলে দুবাই থেকে বাংলায় নমিনেশন হয়, তেমনি ডেঙ্গিটাও বাংলাদেশ থেকে এসেছে, এমন কথা বলে দেবে।’’ রাজ্যের মানুষের কাছে সুকান্ত আর্জি জানিয়েছেন, তাঁরা যেন সরকারের আশায় বসে না থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Mazumdar) বলেন, ‘‘নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এলাকার অপরিষ্কার স্থানগুলো, যেখানে বর্ষার জল জমে সেসব পাত্রগুলো পরিষ্কার রাখুন, আপনাদের সুরক্ষা আপনাদেরই নিতে হবে। ডেঙ্গিকে প্রতিহত করতে আমাদের সকলকে সংকল্প নিতে হবে।’’
রাজ্য অফিসে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার বেশ কিছু ছবি তুলে ধরেন। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে কোথাও মন্দিরের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড তো কোথাও আবার ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ধর্মস্থান। এনিয়ে সুকান্ত (Sukanta Mazumdar) বলেন, ‘‘এর কোনওটাই বাংলাদেশের ছবি নয়। সবটাই আমাদের পশ্চিমবঙ্গ।’’ বালুরঘাটের সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘কোনও মুসলিম সংগঠন এগুলো কি আপনাকে করতে বলেছিল? আমাদের কাছে তো সেরকম কোনও খবর নেই। তাহলে আপনি মন্দির ঢাকতে গেলেন কেন?’’
সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) দাবি, হরিরামপুরের প্রাক্তন বিডিও শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ পাঠান তাঁকে। অভিযোগ, সুকান্ত মজুমদারকে তিনি বলেন, ‘‘স্যর আপনারা না জিতলে কাপড় খুলে যাবে।’’ এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিডিও-রা তৃণমূলের দলদাস হিসাবে কাজ। একজন বিডিও আমায় হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করে হুমকি দিচ্ছেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছি আপনি সরকারি আধিকারিক। এইভাবে কি কথা বলতে পারেন?” বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।