কনভয়ের গতিবিধি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কী বললেন শুভেন্দু?
জাতীয় সড়কের উপর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার তাঁর কনভয়ের রাখা যাতায়াতের গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখে, এই দাবি তিনি প্রায় বেশ কয়েক মাস আগে করেছিলেন। সোমবার তা হাতেনাতে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা এদিন তোপ দাগেন। এমনকী জেলা পুলিশ সুপারকেও তিনি নিশানা করেছেন।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় পেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করার পর বিশেষ কাজে তিনি ফিরে আসেন হলদিয়া মোড়ের কাছে। তখন তিনি দেখতে পান জাতীয় সড়কের কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের পাশে স্পিডোমিটার সরিয়ে নিচ্ছেন পুলিশ কর্মচারীরা। গাড়ি থেকে নেমে হাতেনাতে ধরে ফেলেন শুভেন্দু এবং একগুচ্ছ অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
শুভেন্দু বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন সেই অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ পেল। বিরোধী দলনেতার যানবাহনের গতিবিধির নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকার স্পিডোমিটার যে ব্যবহার করছিল এটাই তার প্রমাণ। আমি চলে যাওয়ার পর ফিরে আসব ওরা বুঝতে পারেনি। আসলে রাজ্য সরকার বিরোধী দলনেতাকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু, সম্পূর্ণটাই বিফলে পরিণত হয়।’
Mamata Police are at it again. This is the panic reaction of Bhaipo receiving Notice for the 13th.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 11, 2023
Kolaghat Police installed "Vehicle speed monitoring device" on National Highway. Just to be clear, I welcome the move for the safety of the commuters and pedestrians.
But why wrap… pic.twitter.com/muInsZDnM9
বিরোধী দলনেতা বলেন, 'প্রশাসন তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুক।' জাতীয় সড়কের ওপর বিভিন্ন বেআইনি বিষয়গুলিও তুলে ধরেন স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সমস্তটাই দায়ভার চাপিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-র উপর। স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানা যায়, ‘যাই অভিযোগ আসুক না কেন বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখেই স্পিডোমিটার বসানো হয়েছিল সাধারণ মানুষের স্বার্থে।’
কিন্তু, প্রশ্ন হল, সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থেই যদি স্পিডোমিটার বসানোই হয়ে থাকে, তাহলে, আচমকা কেন তা গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছিল?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।