কলেবর বাড়ছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির
সল্টলেকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়। জানিয়েছেন সল্টলেকের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির নির্দেশক ডক্টর সুভাষ সিং। সোমবার ইন্সটিটিউটে (Homeopathy) আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বয়েজ হস্টেলের শিলান্যাস করেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এই অনুষ্ঠানে সুভাস সিং বলেন, বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার রোগীর চিকিৎসা চলে। সেটা পাঁচ হাজার করার পরিকল্পনা আছে। তার জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এই হোমিওপ্যাথি ইন্সটিটিউট। এখানে একটি আয়ুর্বেদিক গার্ডেন তৈরি করা হয়েছে। একটি বড় রিসার্চ ল্যাব খুব শীঘ্র তৈরি হবে। একটি হোমিওপ্যাথিক (Homeopathy) মিউজিয়াম তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সরকারি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। সেখানে হোমিওপ্যাথির ইতিহাস থেকে তার বিবর্তন ও চিকিৎসা পদ্ধতি তুলে ধরা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মহেন্দ্র মুঞ্জাপাড়া, হোমিওপ্যাথির নির্দেশক ডক্টর সঙ্গীতা দুগগাল প্রমুখ।
কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?
সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে আমাদের দেশকে সেরা বানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে হবে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির ৪৮ বছরের পথ চলায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে কত চিকিৎসক সারা বিশ্বে সেবা দান করছেন, তাঁদের একটি তালিকা প্রস্তুত করছেন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আবেদন করেন। তিনি বলেন, কলকাতার এই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির (Homeopathy) পরিকাঠামো আরও বাড়ানো হচ্ছে। অডিটোরিয়াম ছাড়াও ১৫০ বেডের হাসপাতাল হবে। পি জি স্টুডেন্টদের জন্য আলাদা হস্টেল হবে। এছাড়া এখানেই যাতে হোমিওপ্যাথির (Homeopathy) ওষুধ তৈরি করা যায়, সে ব্যাপারেও কাজ চলছে।
মমতার জোটের উদ্যোগের বিরোধিতা
মমতা বন্দোপাধ্যায় যে বিরোধী জোট তৈরি করতে চাইছেন, সে ব্যাপারে সর্বানন্দ বলেন, তারা যাই করুক, মোদিজির নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের মধ্যে প্রথম হওয়ার দিকে এগচ্ছে। এ রাজ্যে গণতন্ত্র চলে না। এরা গণতন্ত্রকে অপব্যবহার করছে। তৃণমূল যাই করুক, বিজেপি এ ধরনের রাজনীতি পছন্দ করে না। বিজেপি উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।