রাজ্যে এটাই বোধহয় উন্নয়ন! শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন
পানীয় জলের আকালে একমাত্র ভরসা এই সরকারি ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় জর্জরিত বিস্তীর্ণ এলাকার (Dakshin Dinajpur) মানুষ। একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও সমস্যা সেই তিমিরেই। ফাল্গুন মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত জলকষ্টের জন্য কোনও অনুষ্ঠান করেন না দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিবংশীপুর গ্রামের বাসিন্দারা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। পানীয় জলের জন্য ভরসা করতে হয় সরকারি প্রকল্পে দেওয়া জলের নামমাত্র একটি ট্যাঙ্কের ওপর।
মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিবংশীপুর, ডাইং, ডাইং-মালঞ্চা, বালাপুর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের একই ছবি। জলের জন্য প্রতি বছরই হাহাকার ওঠে এই অঞ্চলগুলিতে। প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হরিবংশীপুর গ্রামে পাকা রাস্তা হয়েছে। গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ক্যাম্প রয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে রয়েছে ডিশ টিভি। বিদ্যুতের ব্যবস্থাও হয়েছে। কিন্তু পানীয় জলের সমস্যার আজও সমাধান হয়নি। জলের স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে গ্রামে নলকূপ থাকলেও তা থেকে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। অপর দিকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের যে পানীয় জলের প্রকল্প রয়েছে, সেখানেও জল নিয়মিত না আসায় আরও সমস্যায় এলাকার মানুষ। হরিবংশীপুরের (Dakshin Dinajpur) মোট ভোটার সংখ্যা ১২০০। জনসংখ্যা ১৭০০ এরও বেশি।
বিপুল সংখ্যক মানুষের পানীয় জলের চাহিদা মেটানোর জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একমাত্র কংক্রিটের তৈরি জলাধারের উপর নির্ভরশীল গ্রামের বাসিন্দারা। সেই জলাধার পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয় না কেউ। যদি কোনও কারণে দু-একদিন জল না আসে, তাহলে গ্রামবাসীদের (Dakshin Dinajpur) নির্ভর করতে হয় পুকুরের জলের উপর, অথবা পানীয় জল আনতে যেতে হয় পাশের গ্রামে। দ্রুত এর সমাধান চাইছেন গ্রামবাসীরা।
এই বিষয়ে এক গ্রামবাসী বলেন, আমাদের এই পঞ্চায়েতের ৫টি গ্রামে (Dakshin Dinajpur) প্রচণ্ড জলকষ্ট। আমাদের গ্রামে একটি জলের ট্যাঙ্ক আছে। সেই জল আমরা খাই এবং পাশের গ্রাম থেকে এসেও জল নিয়ে যায়। সময় সময় ট্যাঙ্কের জল পরিষ্কার করতে হলে আমরা পুকুর থেকে জল এনে খাই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে যে জলের প্রকল্প রয়েছে, সেখানেও নিয়মিত জল আসে না। আমরা এক আদিমযুগের মানুষের মতো বাস করছি। আর সবচেয়ে বড় কথা, জলকষ্টের জন্য আমাদের গ্রামে ফাল্গুন মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত কোনও অনুষ্ঠান হয় না। আমরা চাই, তপনের মানুষ দ্রুত জলকষ্ট থেকে রেহাই পাক।
কী বললেন বিধায়ক? (Dakshin Dinajpur)
এই বিষয়ে তপন বিধানসভার বিজেপির বিধায়ক বুধরাই টুডু বলেন, তপনের মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জলকষ্ট আছে। এই জলের সমস্যা মেটানো যায়। কিন্তু আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই বিষয়ে বিডিওর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু তারা কোনও ভ্রূক্ষেপ করছে না। আমি বিধানসভাতে এই বিষয় নিয়ে দু'বার বলেছি। আশা করছি দ্রুত জলের সমস্যা মিটে যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।