img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

মৃত শিশুর বাবা অসীম দেবশর্মা অভিযোগ করেন, ১০২ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে মৃতদেহ বহন করা হয় না বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

img

পাঁচ মাসের মৃত শিশুর কপালেও জুটল না পরিষেবা। নিজস্ব চিত্র

  2023-05-15 19:54:05

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনীয় টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে না পেরে শিশুপুত্রের মৃতদেহ জামাকাপড়ের ব্যাগে ভরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি এনেছিলেন বাবা। সেই অমানবিক ও মর্মস্পর্শী ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য দফতর।

বিজেপি জেলা সভাপতির তোপ

রবিবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় (Kaliyaganj)। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার রাতে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ায় মৃত ওই শিশুর বাড়িতে যায় জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল। পুত্রহারা পিতার কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শোনেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ এরপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসুদেববাবু। তিনি আরও বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নাম হলেও বাস্তবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বলে কিছু নেই।

তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাস

সোমবার মৃত ওই শিশুর বাড়িতে গেল তৃণমূল নেতৃত্বও। মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লতা সরকার দেবশর্মা, জেলা পরিষদের (Kaliyaganj) সদস্য দধিমোহন দেবশর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোলাম মোস্তাক সহ অন্যান্যরা অসীম দেবশর্মার বাড়িতে যান। নিজের ছেলের মৃতদেহ ব্যাগে করে কেন আনতে হল সেই খবরও নেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷

মহকুমা শাসকের বক্তব্য

মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। খবরটি পাওয়া মাত্রই আমরা ব্লক অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। পরিবারের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার কারণে মৃত শিশুর বাবার (Kaliyaganj) স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। আমরা সেই কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সমব্যথী প্রকল্পের টাকাও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকেও প্রশাসনের নজর থাকবে বলে জানান কিংশুকবাবু।

গাফিলতির নানা দিক

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে শিশুর মৃত্যুর পর ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়ার সময় অসীম দেবশর্মা অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্তব্যরত এক কর্মী তাঁকে জানিয়ে দেন, বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হবে। কিন্তু মৃত শিশুর (Kaliyaganj) বাবা অসীম দেবশর্মা অভিযোগ করে বলেন, ১০২ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে মৃতদেহ বহন করা হয় না বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কিন্তু আইন বা নিয়ম অনুযায়ী ১০২ নম্বরে ফোন করার পর সাহায্য করা উচিত ছিল। পুরো বিষয় নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন হাসপাতালেরই ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিজস্ব কোনও মৃতদেহ বহনের গাড়ি নেই, এমনটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জলপাইগুড়ির ঘটনায় শিক্ষা নেয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কয়েক মাস আগে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়ার জুলুমের মুখে পড়তে হয় এক বাসিন্দাকে। পরে ছেলেকে বাবার মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়েছিল। বোঝাই যায়, বারবার একই ঘটনা ঘটলেও কেউই শিক্ষা নেয়নি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

bjp

Madhyom

tmc

bangla news

Bengali news

ambulance

kaliyaganj


আরও খবর


ছবিতে খবর