Covid Vaccine: সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের ভাঁড়ারে কোভিশিল্ড পড়ে আছে মাত্র ২৮০। কর্বিভ্যাক্সও নেই রাজ্যের কাছে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে, বাড়ছে উদ্বেগও। করোনা থেকে বাঁচতে রাজ্যে দেখা দিয়েছে বুস্টার ডোজের চাহিদা (Covid Vaccine)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র বুস্টার ডোজ নয়, রাজ্যে করোনা টিকা কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, কর্বিভ্যাক্স সবই বাড়ন্ত। এমনকী মানুষ টিকা নিতে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরে আসছে। ফলে রাজ্যে টিকার আকাল, তাই করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজ্যবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ।
কলকাতার বেলেঘাটা আইডি থেকে এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, আরজিকর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের সর্বত্রই একই অবস্থা। কোনও জায়গাতেই নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে। কিন্তু, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মজুত কোভ্যাক্সিনের একাংশের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে আম জনতা ফের টিকা নিতে আগ্রহী হলেও তাঁদের টিকা না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের ভাঁড়ারে কোভিশিল্ড পড়ে আছে মাত্র ২৮০। কর্বিভ্যাক্সও নেই রাজ্যের কাছে। অন্যদিকে নেজাল ভ্যাকসিনের অনুমোদন মিললেও রাজ্য সরকার, রাজ্যের মানুষের জন্য সেই টিকা নিজেরাই কিনবে কিনা সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ফলে, বুস্টার ডোজ নিয়ে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি
এদিকে, টিকার ঘাটতির মধ্যেই বেলেঘাটা আইডি, এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস, আরজিকর সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। তবু করোনা টিকার জোগান বাড়ানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা এখনও কিছু জানানো হয়নি।
কলকাতা পুরসভার দাবি, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে। পুরসভার তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন সাত কোটির বেশি। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাত কোটির কম। সেখানে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র দেড় কোটির কিছু বেশি। পুরসভার মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ জানান, নির্দিষ্ট পরিমাণ লোক না হওয়ায় প্যাক খোলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে আবার নির্দিষ্ট কিছু ভ্যাকসিনের জোগানের অভাব রয়েছে বলে জানাচ্ছে পুরসভা। আরও জানানো হয়েছে, কিছু কোভিশিল্ড, কর্বিভ্যাক্স ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ফলে এখন সেগুলি রাজ্যে নেই।
রাজ্যে করোনা টিকার আকাল, ফলে বিজেপির তরফে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে শাসকদলকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র কোথাও অভাব রাখেনি। কেন্দ্র তো ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। তাহলে এখানে নেই কেন? নিচু থেকে ওপর খতিয়ে দেখা উচিত।” তাঁর মতে, চিন ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছে। তাই বিপদ বেড়েছে। আমাদের রাজ্যে ভুয়ো সরকার চলছে। শুধু আওয়াজের ওপর আছে। অনেকে এখনও একটাও ভ্যাকসিন নেননি। সরকারের উচিত তাদের বোঝানো।”