img

Follow us on

Friday, Sep 20, 2024

Howrah: গাড়ি কেনাই কাল হল! হাওড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

Howrah: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালের দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

img

পথ দুর্ঘটনার পর অধ্যাপিকার গাড়ির অবস্থা (নিজস্ব চিত্র)

  2023-08-08 13:55:39

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই অধ্যাপিকাসহ তিনজনের। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই রোডে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে। জখম যুবককে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই অধ্যাপিকা সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। দু-জনেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ছিলেন। জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা নন্দিনী ঘোষ (৩৬) মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশা রায় (৩৩) দূরশিক্ষা বিভাগের পরিবেশ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক। মিশার বাড়ি সোদপুরে। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে গাড়িচালক বিশ্বজিত রায়ের(৩১)। বিশ্বজিতের বাড়িও উত্তরপাড়ায়।

ঠিক কীভাবে দুঘর্টনা ঘটেছে?

দুই অধ্যাপিকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোয়ার্টার রয়েছে। তবে, মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে গাড়ি করে যাতায়াত করতেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খড়্গপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেলারটি। উল্টো লেনে ছিল গাড়িটি। মেদিনীপুর থেকে নন্দিনীর গাড়ি করে তাঁরা হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন। হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারটি হঠাৎই ডিভাইডার টপকে পাশের লেনে চলে যায়। সেই সময় ওই লেনে কোলাঘাটের দিক থেকে আসছিল নন্দিনীদের গাড়িটি। ট্রেলারের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েন চালক সহ তিন যাত্রী। খবর পেয়ে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের নিয়ে আসা হয় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

নন্দিনী ঘোষের বাবা সুদীপ ঘোষ বলেন, এক সময় মেয়ে শ্রীরামপুর কলেজে পড়াত। পরে, সে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়। ট্রেনে যাতায়াত করত। কিন্তু, লকডাউনের সময় গাড়ি কিনেছিল। গাড়ি করে যাতায়াত করত। সঙ্গে সোদপুরের মিশা থাকত। সোমবার সকালে আমি নিজে হাতে টিফিন তুলে দিয়েছি। বিকেলের পর মেদিনীপুর থেকে বেরিয়ে ওর মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। রাত ৮ টার পর আর তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। প্রাক্তন আইপিএস হিসেবে তিনি লালবাজারে পুরানো সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই হাওড়ার (Howrah) পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কার্যত তিনি ভেঙে পড়েন।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Howrah

Road Accident


আরও খবর


ছবিতে খবর