Murshidabad: তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে চার বালতি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ
তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ার পর পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কর্মীকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বড়ঞা থানার পাঁপরদহ গ্রামে। হামলাকারীও তৃণমূল করে বলে মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। গত কয়েকদিন ধরেই দু পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। রবিবার মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। আমির আলি শেখ (৫০) নামে ওই তৃণমূল কর্মীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, "আইসিডিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হিল্লাল নামে এক যুবক আমার গালে চড় মারে। এরপরই আমাদের পরিবারের লোকজন তার প্রতিবাদ করে। দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তবে, ঘটনার সময় দাদা মসজিদে ছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই বোমা মেরে আমার দাদাকে খুন করা হয়।" ঘটনার পরই মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের সামনে তাঁরা ক্ষোভ জানান। কারণ, হামলাকারীদের মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। তাই পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান এলাকাবাসী। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সানির নেতৃত্বে এই হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। মুড়ি-মুড়কির মতো গ্ৰামে বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পরে কান্দি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাগর রানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে চার বালতি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।
তৃণমূলের বড়ঞা ব্লকের সহ সভাপতি মাহে আলম বলেন, তৃণমূল (TMC) কর্মী মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে তাঁকে খুন করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও কোন্দল নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।