তৃণমূলের দুর্নীতির তালিকায় সারের কালোবাজারিও! সরব সুকান্ত
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে চলছে সারের (Fertilizers) কালোবাজারি। এই চক্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, "শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের মদত ছাড়া কালোবাজারি করা সম্ভব নয়। না হলে পুলিশ একদিনেই এই কালোবাজারি বন্ধ করে দিতে পারত। তাই এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই।"
বালুরঘাটের কৃষক সুবল মণ্ডল বলেন, ‘যখনই আলু কিংবা অন্য ফসল চাষের সময় আসে, তখনই সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বছরই সরকারি সার কালোবাজারি হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে লোক দেখানো সার ব্যবসায়ীদের শো-কজ করা হচ্ছে। কিন্তু সারের (Fertilizers) দাম কিছুতেই কমছে না।’ বালুরঘাট ব্লক কৃষি দফতরের তরফে এই ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা জায়গায় মজুত সারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৬২ জন সার ব্যবসায়ীকে শো-কজ করেছে জেলা কৃষি দফতর। এছাড়া চার ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি না করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কী বললেন সুকান্ত? (Fertilizers)
সারের কালোবাজারি নিয়ে বিরক্ত সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘গঙ্গারামপুরে এসসি মোর্চার সদস্যরা সারের কালোবাজারির কথা বলেছে। সবটা শুনেছি। আমি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দেব। তাঁরা এসে সব খতিয়ে দেখুন। সারের ক্ষেত্রেও কতটা দুর্নীতি হচ্ছে, তা দেখুন। সারের কালোবাজারিতে পুলিশ ও শাসকদল সরাসরি যুক্ত রয়েছে।'
সারের কালোবাজারি কথা অকপটে স্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার জানিয়েছেন, ‘যে সারের চাহিদা তুঙ্গে, সেই সারেই কালোবাজারির অভিযোগ পেয়েছি। বিকল্প সার ব্যবহারের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা দরকার।' তাঁর দাবি, “যেখানে যেখানে সারের কালোবাজারির খবর মিলছে, সেখানেই প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি, ১০:২৬ সারের বদলে অন্য সার ব্যবহারেও একই ফলন পাওয়া যে সম্ভব, তা নিয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।’ জেলা কৃষি আধিকারিক প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ২৫২টি সারের (Fertilizers) দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে।' বালুরঘাট ব্লক কৃষি আধিকারিক তনয় সাহার বক্তব্য, ‘কয়েক মাস ধরেই সারের কালোবাজারি নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি সরব হয়েছে। জেলায় এনপিকে (২৬:২৬:২৬) সারের চাহিদা সব থেকে বেশি। এই সারের দাম সবচেয়ে বেশি। ওই সারের পরিবর্তে এনপিকে (১৫:১৫:১৫, ১৬:১৬:১৬, ১৬:২০:০:১৩) এই বিকল্প সারগুলি বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।