দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তৃণমূল কাউন্সিলরের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ
বাঁ দিকে তৃণমূল চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলাম এবং ডান দিকে পারভেজ আলম পুতুল। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারভেজ আলম ওরফে পুতুল। পুর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের আবাস যোজনার টাকা প্রদান করা হলেও গোষ্ঠী কোন্দল এবং প্রতিহিংসার কারণে শুধুমাত্র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু উপভোক্তাদের টাকা আটকে রেখেছেন খোদ চেয়ারম্যান। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় দুর্নীতি ফের প্রকাশ্যে।
তৃণমূল কাউন্সিলর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ধুলিয়ান পুরসভা (Murshidabad) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এদিন তিনি এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। কাউন্সিলর স্পষ্ট বলেন, “উপভোক্তরা টাকা পাওয়ার জন্য যে কয়েকজন অফিসারের স্বাক্ষর দরকার, তারা সবাই স্বাক্ষর করলেও প্রতিহিংসা করে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেননি। ফলে বকেয়া টাকা আটকে রয়েছে। চরম দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে আবাস যোজনার উপভোক্তাদের।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে এবং চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
ধুলিয়ান পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (Murshidabad) বঞ্চিত উপভোক্তাদের অভিযোগ, “দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বাড়িতে খোলা অবস্থায় রয়েছেন। কেউ ভিত পর্যন্ত, কেউ আবার বাড়ির কিছুটা অংশ উঠিয়ে টাকা না পেয়ে বেকায়দায় পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের আর্থিক বরাদ্দের টাকা না দিলে আমাদের ঘরের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে।" উল্লেখ করা যেতে পারে, ধুলিয়ান পুরসভার কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুল ২০২২ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করে পুরসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাস ছয়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে জেলা সভাপতির হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপর থেকে দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়।
এদিকে দলেরই কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুলের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে ধুলিয়ান (Murshidabad) পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলাম বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সমস্ত ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪ জন উপভোক্তাকে ব্যাঙ্কে টাকা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবারের মধ্যে বাকি আরও ১৫ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করা হবে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, “যারা টাকা পাওয়ার কথা, তাদের নাম না দিয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। আমরা সেটা বানচাল করে ন্যায্য প্রাপকদের দিয়েছি। এতেই ওই কাউন্সিলরের গাত্রজ্বালা হচ্ছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।