img

Follow us on

Wednesday, Jan 15, 2025

School: ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা সামিল হওয়ার অপরাধে স্কুলে একী করল তৃণমূল?

নিয়ম মেনে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শিক্ষকরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। সেই অপরাধে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিল তৃণমূলীরা। রোদে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকল পড়ুয়ারা। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

img

স্কুল গেটে তালা, বাইরে দাঁড়িয়ে পড়ুয়ারা

  2023-03-12 13:06:12

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অন্যান্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন গঙ্গারামপুরের পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School) শিক্ষক শিক্ষিকারা। এটাই ছিল এই স্কুলের শিক্ষকদের অপরাধ। শুধুমাত্র সেই কারণে শনিবার তাঁরা স্কুলে (School)  গিয়ে দেখেন আগে থেকেই স্কুলে তালা ঝুলছে। খোঁজ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতে পারেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা এই তালা ঝুলিয়েছে। শাসক দলের নেতারা তালা লাগিয়েছে, সেই তালা ভাঙা সাহসও কারও নেই। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা একজন সিভিককে পাঠিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়েছেন। এই বিষয়টি শুধু পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়, পাশের রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। তালা মারার ঘটনা অন্যদের জানাতে চাইলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

 কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা? School

 বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। গঙ্গারামপুর পর্ত্তিপাড়া, রাঘবপুর সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। শনিবার স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখেন তালা ঝুলছে।এদিকে ঠাঁই রোদে স্কুলের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পড়ুয়ারাও দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুপুর একটার পর তৃণমূল নেতৃত্ব তালা খুলে দেন। দুপুর একটার পর স্কুল খোলার কারণে আজ স্কুলে মিড ডে মিলও হয়নি। এবিষয়ে পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School)  প্রধান শিক্ষিকা নূপুর সাহা বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টি জানানোর পরে আমরা ধর্মঘটে সামিল যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের এই অপরাধে স্কুলে তালা মেরে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা স্কুলে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করে।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

এবিষয়ে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শংকর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। ধর্মঘট, আন্দলোন করা এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। এই বিষয়ে সরকারকেও উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমরা যারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলাম আমাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতেই পারে। এটি সম্পূর্ণ আইনি ব্যাপার। এভাবে স্কুল বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হেনস্থা করার অধিকার কারও নেই। এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে বলুন না, উনি তো বলেছিলেন শিক্ষকরা ধর্মঘট করলে তাদের বেতন কাটা যাবে। যারা স্কুলে তালা মারল তাদেরও মাইনে কাটা উচিত। তাদের কাছ থেকে একদিনের টাকা নেওয়া উচিত। একদিনের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ল, বাচ্চাদের ক্ষতি হল তার দায় কে নেবে। তৃণমূল তো এটাই চায়। হীরক রাজাও স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল। এই নতুন হীরক রানি ও তাঁর দলবল স্কুল বন্ধ করে দিতে চায়। এরা যত বেশি জানে তত বেশি মানে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

bjp

Madhyom

tmc

DA

bangla news

Bengali news

teachers

students

school

gangarampur

Strike

school gate


আরও খবর


ছবিতে খবর