Raju Sahani: সিবিআই হানায় প্রকাশ্যে শাসক দলের আরেক কীর্তিমানের কাণ্ডকারখানা...
ধৃত রাজু সাহানি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এবার আরেক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেক উদ্ধার হল বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা। ফিরে এল ইডি হানায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার স্মৃতি। এই ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে।
ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের আরেক কীর্তিমান। শুক্রবার, হালিশহর পুরসভার (Halisahar Municipality) চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল (TMC) নেতা রাজু সাহানির (Raju Sahani) নিউটাউনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। সেখান থেকেই প্রায় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এরপরই রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)।
আরও পড়ুন: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?
কে এই রাজু সাহানি? হালিশহরের এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ সাহানি। ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দু'বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। রাজু হলেন সেই লক্ষ্মণ সাহানির ছেলে। কয়েকবছর আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন লক্ষ্মণ। সেইসঙ্গে দলবদল করেন ছেলেও। স্রেফ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নন, তিনি এখন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানও। সিবিআই সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে পুরসভার আসছিলেন না রাজু। কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটে কার্যত গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।
কেন সিবিআই রেডারে চলে আসেন রাজু? সিবিআই সূত্রে খবর, সনমার্গ কো অপারেটিভ চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল পরিচালিত হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান। রাজু সাহানি দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াচ লিস্টে ছিল। অভিযোগ, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বর্ধমান সনমার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড থেকে প্রচুর টাকা ‘প্রটেকশন মানি’ হিসাবে নিয়েছেন রাজু সাহানি। মাঝে মাঝেই তার কাছে পৌঁছে যেত মোটা টাকার বাণ্ডিল।
কী মিলেছে তল্লাশি থেকে? শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকেই রাজুকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। ধৃতকে নিয়ে আসা হয় হালিশহরে। সেখানকার বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তি ও একটি দেশি পিস্তল পাওয়া যায়। এমনকী তাইল্যাণ্ডের ব্যাংক একাউন্টের হদিশও মিলেছে। দাবি, সেই ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
সাম্প্রতিককালে, শাসক দলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ। পার্থ ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ থেকে শুরু করে প্রচুর নামী-বেনামী সম্পত্তির হদিশ উঠে এসেছে ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) হাতে। পার্থ, অনুব্রত ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা এখন শ্রীঘরে। তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে মামলা। তার মধ্যেই শাসক দলের আরেক মূর্তিমানের আবির্ভাব ঘটায় রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। শনিবার রাজুকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হলে, তাঁকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।