রাষ্ট্রপতির পরে বন দফতরের অফিসার! অখিল গিরির আক্রমণের মুখে মহিলা আধিকারিক
মহিলা আধিকারিককে গালিগালাজ করলেন অখিল গিরি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মন্ত্রী (TMC Minister) অখিল গিরি (Akhil Giri) সর্বসমক্ষে বন দফতরের এক মহিলা আধিকারিককে জানোয়ার-বেয়াদব বলে গালি দিলেন। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে মমতা মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি ওই আধিকারিককে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন মমতা সরকারের মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় কোনওভাবেই অনুতপ্ত হতেও দেখা যায়নি অখিল গিরিকে (Akhil Giri)। সাধারণ মানুষজন বলছেন, ‘‘অখিল গিরির কাছে এ আবার নতুন কী? এটাই তো ওনার মুখের ভাষা! মহিলাদের নিয়ে কটূক্তি তিনি করেই থাকেন। কখনও তাঁর লক্ষ্যে থাকে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কখনও থাকে বন দফতরের আধিকারিক।’’ আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘তৃণমূলের তো এটাই সংস্কৃতি। গালিগালাজের এই রাজনীতি রাজ্যজুড়ে করে চলেছে তৃণমূল (TMC Minister)। এতে আবার নতুন কী রয়েছে।’’ আশ্চর্যজনকভাবে অখিল গিরি আবার এমন দাবিও তুলেছেন যে বন দফতরের দুর্নীতির বিষয়ে তিনি নাকি অনেক কিছুই জানেন, সেটা ফাঁস করবেন বিধানসভায়। এতেই উঠছে প্রশ্ন! মমতা মন্ত্রিসভার দফতরগুলি যদি এভাবেই নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবে কখন? এদিকে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, এই ঘটনায় দলের অন্দরে অখিলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তোলেন বলে সূত্রের খবর। তিনিও আবার ঘুরিয়ে তির ছুড়েছেন মন্ত্রিসভার সহকর্মীর দিকেই।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে। বন দফতরের জায়গা থেকে যে সমস্ত হকারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, সেখানে যান অখিল গিরি। সেখানেই হাজির ছিলেন কাঁথি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ সহ অন্যান্য কর্মীরা। সে সময়ে অখিল গিরি বন দফতরের ওই অফিসারকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকেন। আঙুল নাচিয়ে অখিল গিরি বলেন, “২৫ ফুট আমরা নিলাম। এর ভিতরে যদি আপনি আসেন, আপনি ফিরে যেতে পারবেন না। বেশি কথা বলবেন না আপনি একদম। এরকম জানোয়ার, বেয়াদপ রেঞ্জার আসেনি কখনও।”
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “অখিলবাবুকে তো বিধানসভায় দেখেছি। এটা ওনাদের দলীয় শিক্ষা। ফলে এইভাবেই ওনারা কথা বলবেন যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন।” তবে একজন মহিলা আধিকারিককে এভাবে গালিগালাজ করা যায় কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে নীরব থেকেছেন রাজ্যেরই অপর এক মন্ত্রী (TMC Minister) তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি শুধু বলেন, “আমি এটা জানি না।” এতে কেউ কেউ বলছে নীরবতাই কি সম্মতির লক্ষণ?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।