North Dinajpur: তৃণমূলের বিরুদ্ধে এ কী বললেন করিম চৌধুরী?
সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল করিম চৌধুরী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধ না হলে রাজ্যসভার ভোটে অংশ নেব না। সাফ জানিয়ে দিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চোধুরী। এমনকী তিনি বিধানসভার কোনও বিলকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়ে দেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের এই বিস্ফোরক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ পঞ্চায়েতে তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের দল অনুমোদন করেনি। বাধ্য হয়ে তাঁর নির্দেশে সকলেই নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করেন। নির্বাচনের দিন অধিকাংশ বুথে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে করিম সাহেবের দেওয়া নির্দল প্রার্থীদের লড়াই হয়। এদিন করিমসাহেব বলেন, তৃণমূল ভোট করতে দিল না। সকালের দিকে দুঘণ্টার মধ্যে ২৮টি বুথে ভোট হয়ে গেল। এটা কি সম্ভব? আমরা প্রশাসনের কাছে ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।
ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে ইসলামপুরে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্বেও পুলিশ আমার কথায় গুরুত্ব দেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত হলেও দল তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
করিমসাহেব বলেন, সিপিএমের আমলে দেখতাম বিরোধীদের জমিতে পতাকা টাঙিয়ে তা দখল করে নিত। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারত না। প্রশাসনও কিছু করত না। এখন যারা নির্দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্দলদের সমর্থন করেছিলেন, তৃণমূলের (TMC) লোকজন তাঁদের জমিতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দিয়ে জোর করে জমি দখল করে নিচ্ছে। ফসল কেটে নিচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না।
নির্বাচনে অশান্তির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও পরিবার প্রতি একজনের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতার এই প্রলোভনের জন্য আগামীতে মানুষ মরনঝাঁপ দেবে। এগুলো না করে মমতা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারতেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।