পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুক্রবার কালীঘাটে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের দিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আজ কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই বৈঠকে যোগ দিলেন না উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। ইসলামপুরের বিধায়ক সাফ জানিয়েছেন, বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের কথা শুনতে হয়। বলার কোনও জায়গা নেই। তাই এই বৈঠকে তিনি যোগ দিচ্ছেন না। এমনিতেই দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক ব্যাকফুটে। তারপর আবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, এর প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি রাজ্য বিজেপি। উত্তরবঙ্গের বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন 'মাধ্যম'-কে বলেন, মুষল পর্ব শুরু হয়েছে তৃণমূলে (TMC)। পিসি ভাইপো কোম্পানিতে আর কেউ চাকরি করতে চাইছে না। যতদিন যাবে এই ফাটল তত চওড়া হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুক্রবার কালীঘাটে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের দিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের বিধায়কের অনুযোগ, আজকের বৈঠকে দলের তরফ থেকে কোনও পরিচিত নেতা তাঁকে ফোন করেননি। একজন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে শুক্রবারের বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি সেই ফোন ধরেননি। করিম চৌধুরীর আরও আক্ষেপ, দীর্ঘ পঞ্চান্ন বছর বিধায়ক থাকার পর সুব্রত বক্সীর কাছে তাঁকে শুনতে হয় ব্যক্তি নয় দল বড়। তিনি এও জানিয়েছেন, ইসলামপুরের তাঁর বিরোধী লোকজনদের দলের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে। তাদের পরিবর্তনের প্রস্তাব দিলে সুব্রত বক্সী তাঁকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে এদিন বেলাগাম লোক বলে তোপও দাগেন তিনি। করিম চোধুরীর আরও অভিযোগ দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর যাবদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কোনও কথা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কোনও রকম কুশল বিনিময়ও করেননি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।