নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে হাওড়ার শিবপুর যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল সুকান্তকে। পরে ফের বাধা পান রিষড়া যাওয়ার পথে। এবার বাধা দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা যাওয়ার পথে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়িয়েছে বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। তদন্তকারীরা আসছেন খবর পেয়েই নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন জীবন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে বাঁচাতেই ওই কাজ করেছিলেন জীবন। পুকুরে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই পুকুর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে কান্দিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে।
এই অনুষ্ঠান শেষেই বড়ঞার আন্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি নেতাদের পথ আগলায় বড়ঞা থানার পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপি নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপির দাবি, বড়ঞার পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি সভা করার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলেছিল। শেষতক সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনও জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনও স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না।
আরও পড়ুুন: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের
সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে পুকুর দেখতে গেলে পুকুরের মালিকের কাছে এনওসি আনতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা দেখলাম, কেউ পুকুর পাড়ে যাবে সেজন্য এনওসি দরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এরপর আমরা অপেক্ষায় আছি মুখ্যমন্ত্রী নোটিশ বার করবেন পুকুরে কেউ মাছ ধরতে গেলে, বাসন মাজতে গেলে, স্নান করতে গেলে এনওসি আনতে হবে, রাজ্য সরকারের কাছে ৫টাকা জমা দিতে হবে। সুকান্ত বলেন, জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ধরা পড়ার পর পুরো রাজ্য প্রশাসন ভয়ে তটস্থ। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে থরথর করে কাঁপছেন। হয় পিসি নয় ভাইপো প্রতিদিন কেউ না কেউ প্রেস কনফারেন্স করছেন। সেই ভয়ের কাঁপুনি এখানেও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবন কৃষ্ণ নামের তৃণমূল কংগ্রেসের জীবন ভ্রমরটা এখানেই লুকিয়ে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ওই মোবাইলে এমন কিছু আছে, যেটা বের হয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।