Train Accident: ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পেরে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারের লোকজনের
ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম সঞ্জয়ের ছবি মোবাইলে দেখাচ্ছেন পরিবারের লোকজন (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "বালেশ্বর স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার পর আমি আর আমার বন্ধু রবি খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। পরে, বাথরুমের পাশে বেসিনে থালা পরিষ্কার করছিলাম। আচমকা ট্রেনটি নড়ে ওঠে। বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কয়েকটি পাল্টি খেয়ে ছিটকে পড়ল। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। প্রায় ১২ ঘণ্টার পর আমার জ্ঞান ফেরে। তখন দেখি আমি বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।" ফোনে এক নিমেষে কথাগুলি বলছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয় দত্ত।
শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কেরালায় যাচ্ছিলেন শ্যামনগর রাহুতার বিআরএস নবপল্লির বাসিন্দা রবি বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁরই এক বন্ধু সঞ্জয় দত্ত। দুজনেই কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হন তাঁরা। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে আহতের খবরে ভেঙে পড়েছেন বিশ্বাস দম্পতি। জখম রবির দিদি মলি নন্দী বিশ্বাস বলেন, ভাইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি। ভাই প্ৰথমে বলেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক এটাই ঠাকুরের কাছে আমাদের প্রার্থনা।
দুর্ঘটনায় জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয়বাবু আরও বলেন, "ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে এসেছি। কিন্তু, শ্রমিকের কার্ড, জব কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড হারিয়ে গেল। আমি কাজ করবো কী করে, খাব কী? ডান হাত আমার গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার পর থেকে অজ্ঞান হয়ে যাই। এদিন সকালে জ্ঞান ফিরে দেখি, বালেশ্বর হাসপাতালে। সেখান থেকে মেদিনীপুর।" একই রকম উৎকন্ঠ নিয়ে রয়েছে তার বন্ধু রবি। তারও পা ভেঙে গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।