Nalpur: লাইনচ্যুত ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস, কোন কোন ট্রেন বাতিল, গতিপথ পরিবর্তন?
লাইনচ্যুত ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার নলপুরের (Nalpur) কাছে সাতসকালেই বেলাইন ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও কেন বেলাইন হল ট্রেন (Train Accident) সেই প্রশ্ন ঘুরছে সহ মহলেই। ইতিমধ্যেই জোরকদমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে রেল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সব যাত্রীদের উদ্ধার করে তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শালিমারে ঢোকার আগে সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। দু'টি কামরা এবং একটি পার্সেল ভ্যান লাইনচ্যুত হয়। এদিন দুপুর পর্যন্ত লাইনের ওপর থেকে ট্রেনের বেলাইন কামরাগুলি সরানো যায়নি। রেল সূত্রে খবর, ডাউন লাইন দিয়ে শালিমারের দিকে আসছিল ট্রেনটি (Train Accident)। আচমকা তার শুরুর দিকের কামরাগুলি মাঝের লাইনে চলে আসে। পরে আবার তা ডাউন লাইনে চলে যায়। এর ফলে ট্রেনের ভিতরে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। ডাউন লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁকে গিয়েছে লাইনের একাংশ। যে লোহার ক্লিপ দিয়ে লাইন সংযুক্ত রাখা হয়, তা-ও চারদিকে ছিটকে পড়েছে। লাইনের সিমেন্টের ঢালাই স্লিপারও ভেঙে পড়েছে। যার ফলে হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও যে কারণে ব্যাহত হয়েছে। সকাল থেকে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব লাইনের যাত্রীরা (Train Accident)। যদিও দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত। কারও বড় কোনও আঘাত লাগেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১০টি বাস এবং একটি লোকাল ট্রেনের বন্দোবস্তও করে রেল। কিন্তু, কীভাবে তা সম্ভব হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রেল আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর
লাইনচ্যুত (Train Accident) হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বেশ কিছু জিনিস ভাবাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিকদের। ট্রেনটি ডাউন মেন লাইন থেকে মিডল লাইনে উঠছিল। এই ক্রসিং পয়েন্টে কোনও বিভ্রাট হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রেলের টেকনিক্যাল বিভাগের কর্তারা। নলপুরের ওই যে অংশে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই অংশে তিনটি লাইন রয়েছে। আপ লাইন, ডাউন মেন লাইন, মিডল লাইন। এই মিডল লাইন দিয়ে আপ এবং ডাউন দুই লাইনের ট্রেন চলাচল করে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫-২০ কিমি। সে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনা (Train Accident) এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি গতি বেশি থাকত তাহলে অন্য চিত্র দেখা যেত বলে মনে করছেন অনেকেই। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এজিএম সৌমিত্র মজুমদার জানিয়েছেন, যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই রেলের অগ্রাধিকার। তার পর লাইনচ্যুত কামরাগুলি সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ হবে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে সকাল থেকে হাওড়া-খড়াপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ডাউন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে চলছে না। সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ কোনও ট্রেনই ছিল না, দাবি যাত্রীদের। বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল বা তার সময় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর রেল সূত্রে। বাতিল করা হয়েছে দিঘা থেকে হাওড়া এবং হাওড়া থেকে দিঘাগামী ট্রেন। এ ছাড়া, হাওড়া কিংবা শালিমার স্টেশনে আসার অনেক ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। হাতিয়া থেকে হাওড়া, পুরী থেকে শালিমার, সম্বলপুর থেকে শালিমার, চেন্নাই থেকে শালিমার, আদ্রা থেকে হাওড়া, পুরুলিয়া থেকে হাওড়া, ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়া আসার ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। ঘুরপথে চলবে মুম্বই-শালিমার, মুম্বই-হাওড়া এক্সপ্রেস।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।