Nadia: বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি
নকুল হালদার (বাঁদিকে), মৃতের পরিবারের সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি (BJP) নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার পিপুলবেরিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নকুল হালদার (৬০)। তিনি বিজেপির (BJP) পিপুলবেরিয়া বুথের সহ সভাপতি ছিলেন। বিজেপি নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি হওয়ার সময় নকুলবাবু নিজের বেগুন জমিতে যান। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি না আসায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এরমধ্যে এলাকারই কয়েকজন এসে খবর দেন, আমবাগানে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রয়াত বিজেপি (BJP) নেতা নকুল হালদারের ছেলে রাজেশ হালদার বলেন, "আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে বাবাকে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কারণ, আমার বাবা এই এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা ছিল। তাই, ভোটের আগে বাবাকে সরিয়ে দিল তৃণমূল"। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ ঘোষ। তিনি বলেন, "নকুলবাবু এলাকার প্রথম সারির বিজেপি নেতা ছিলেন। যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই নকুলবাবু থাকলে তৃণমূলরা ওই এলাকায় ভোট লুট করতে পারবে না। সেই কারণেই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি"।
এ বিষয়ে বিজেপি (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, "যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। তার কারণ তাঁর একটি পা ভাঙা রয়েছে। তাছাড়া অত নীচু একটি ডালে কীভাবে তিনি গলায় ফাঁস দিতে পারেন"।
জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, "ওই বিজেপি (BJP) নেতা খুনের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আসলে এই ঘটনার পিছনে বিজেপির কোন্দল দায়ী। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করছি"।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।