নামখানায় তৃণমূলের দুই ব্যবসায়ী সংগঠনের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে, কেন জানেন?
নামখানা ব্রিজের নীচে এভাবেই গজিয়ে উঠছে দোকান (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানার হাতানিয়া দোয়ানিয়া ব্রিজের তলায় অবৈধভাবে পাটকাঠি এবং তেল রেখে ব্যবসা করার সময় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতেও শিক্ষা নেয়নি কেউ। প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করেই ব্রিজের নিচে গজিয়ে উঠছে দোকান। কাটমানির বিনিময়ে দোকান তৈরি করতে মদত দিচ্ছে তৃণমূলের নতুন ব্যবসায়ী সমিতি। এমনই অভিযোগ পুরানো ব্যবসায়ী সংগঠনের। আর এই দোকান বসানোকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের ব্যবসায়ী সংগঠনের নতুন এবং পুরনো গোষ্ঠীর মধ্যে চরম বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার নামখানার হাতানিয়া দোয়ানিয়া ব্রিজের তলায় ব্রিজ তৈরির সময় নামখানা ব্যবসায়ী সমিতি সঙ্গে প্রশাসনের একটি চুক্তি হয়। যেখানে উল্লেখ থাকে ব্রিজের তলায় কোনও দোকান বসতে পারবে না, কারণ ব্রিজে যে কোনও মুহূর্তে কোনও অঘটন ঘটতে পারে। সেই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হবার পর ব্রিজ তৈরি সম্পন্ন হয়। ২০১৮ সালে ব্রিজ চালু হয়। ইতিমধ্যে কলকাতার সঙ্গে বকখালির সরাসরি যাতায়াতে সংযোগ করেছে এই হাতানিয়া দোয়ানিয়া ব্রিজ। কিন্তু, সেই নিয়মকে অগ্রাহ্য করেই নামখানার হাতানিয়া দোয়ানিয়া ব্রিজের তলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে দোকান। শাসকদলের নতুন ভাবে তৈরি হওয়া নামখানা ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতি তার মদত দিচ্ছে বলে দাবি করেছে শাসকদলের বহু পুরনো নামখানা ব্যবসায়ী সমিতি। এই নিয়ে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ তুঙ্গে।
তৃণমূল পরিচালিত পুরনো নামখানা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সমীর দাস ও পল্লবকান্তি দাসের অভিযোগ, আমাদের সমিতির বিগত দিনের দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্যরা নতুন একটি সমিতি গড়ে তুলে এই অপকর্মগুলো চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্রিজের তলায় টাকার বিনিময়ে দোকান বসাতে শুরু করেছে। আমাদের বাধা মানছে না।
নতুন ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা কী বলছেন?
তৃণমূল পরিচালিত নতুন নামখানা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মনোরঞ্জন বেরার দাবি, ২০১৪ সালে যখন ব্রিজ তৈরি শুরু হয়, তখন ৪০০ দোকান ভাঙা পড়ে। তাদের অনেকেই এখনও কোনও টাকা পায়নি। তাদের কথা চিন্তা করে দোকান বসানো হচ্ছে। টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনর অরুণাভ দাস বলেন, শাসক দলের একটি নতুন নাটক। ভাগে কম হওয়ার জন্য একে অপরের দিকে ঢিল ছুড়ছে। এই দোকান বসানোর ক্ষেত্রে সবার ভূমিকা রয়েছে। দোকান বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।