Trinamool Congress: শিলিগুড়িতে সরকারি জমি কোটি কোটি টাকায় বেহাত, কাঠগড়ায় তৃণমূল
সরকারি জায়গায় গড়ে উঠেছে বাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে জমি হাঙররা। তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বেহাত হয়েছে। এখন জমি-মাফিয়াদের গ্রাসে চলে যাওয়া সেই সরকারি জমি উদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিলিগুড়ির (Siliguri) ফুলবাড়ির পূর্ব ধনতলা। বছরের পর বছর ধরে তৃণমূল নেতাদের মদতে জমি-মাফিয়ারা এখানে জমি লুট করে বিক্রি করেছে। কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। চোখের সামনে এসব ঘটনা দেখার পরও এতদিন নীরব থেকে এখন কেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নেই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার পূর্ব ধনতলার স্যাটেলাইট টাউনশিপে ৪৮৬ টি পরিবার উচ্ছেদের আশঙ্কায় ক্ষোভে ফুঁসছেন।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে (Siliguri) জমি-মাফিয়াদের দাপট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হন ফুলবাড়ির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি জমি লুট করে বিক্রি করে দেওয়া, জমি মাফিয়ারাজ চালানো, মারধর ও খুনের চেষ্টা অভিযোগ রয়েছে। তার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, সরকারি জমি দখল করে যারা বসে রয়েছেন, তাঁদের জমি মিউটেশন হবে না। সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য তিনি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দেন। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন।
আরও পড়ুন: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল
শিলিগড়ির (Siliguri) পূর্ব ধনতলার স্যাটেলাইট টাউনশিপের ৪৮৬ টি পরিবার যে জমিতে পাকাবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে, তার সামনে রাজ্য আবাসন দফতরের জমি অধিগ্রহণের সাইনবোর্ড হয়েছে। সেই সাইনবোর্ডকে কিছুটা ছেড়ে গড়ে উঠেছে বসতি। কিছু বড় ব্যবসায়ী অনেক জমি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও তৃণমূল নেতাদের ভরসায় আমরা এক থেকে তিন লাখ টাকায় জমি কিনেছি। কিন্তু, কোনও কাগজ পাইনি, রেজিষ্ট্রিও হয়নি। মেলেনি পাট্টাও। তা সত্ত্বেও গৃহ নির্মাণ সহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। সবই শাসক দলের মদতেই হয়েছে। এখন উচ্ছেদ করলে আমরা কোথায় যাব?
সরকারি জমিতে বসতির পাশেই রয়েছে পুলিশ আবাসন। তাহলে কীভাবে সরকারি জমি দখল পুলিশের নজর এড়াল? একই প্রশ্ন উঠেছে, আবাসন দফতরের বিরুদ্ধে। তাদের জমি ঠিক আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব তো আবাসন দফতরের। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দা গোপাল মহন্ত, মধু সেন। তাঁরা বলেন, পাশেই খোলা মাঠে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড। নিয়মিত তিনি এই মাঠে সভা করেন। তখন কেন তাঁর ও সরকারি আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনের নজরে পড়েনি সরকারি জমি দখলের ঘটনা। কয়েক বছর আগে এখানকার নতুন রাস্তা ও ড্রেনের উদ্বোধন করে আশ্বাস দিয়েছিলেন, যারা বসবাস করছে তাদের কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তাহলে তিনি সব জেনেও আজ কেন উল্টো কথা বলছেন? আমরা তো তৃণমূলকে (Trinamool Congress) ভোট দিয়ে এসেছি। কষ্টের উপার্জন দিয়ে জমি কিনেছি। আমাদের কী অপরাধ?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।